পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ኃእ ዓ8 , ভারত-প্ৰতিভা অতঃপর পুত্রকে সংস্কৃত শিখাইবার বাসনা ঠাকুরদাসের হৃদয়ে বলবতী হইয়া উঠিল। ১২৩৬ সালে ২০শে জ্যৈষ্ঠ তারিখে শুভক্ষণে ঈশ্বরচন্দ্র সংস্কৃত কলেজে প্রবিষ্ট হন। সে সময়ে সংস্কৃত কলেজে কেবল সংস্কৃত শিক্ষাদানেরই ব্যবস্থা ছিল ; ইংরাজী শিক্ষা অতি সামান্যভাবেই হইত। তদানীন্তন ছাত্ৰগণ ইংরাজী পড়িতে বাধ্য ছিলেন না। যাহার ইচ্ছা হইত, তিনি ইংরাজী শিক্ষা করিতেন। ঈশ্বরচন্দ্ৰ যে সময়ে সংস্কৃত কলেজে প্ৰবেশলাভ করেন, সেই সময় হিন্দু কলেজের অধিকাংশ ছাত্র পাশ্চাত্য সভ্যতার আলোকে বিজাতীয় ভাবাপন্ন হইয়া উঠিয়াছিলেন। তদর্শনে ঠাকুরদাস ঈশ্বরচন্দ্ৰকে হিন্দুস্কুলে না দিয়া সংস্কৃত কলেজেই ভৰ্ত্তি করিয়া দেন। সংস্কৃত কলেজে প্ৰবিষ্ট হইয়া ঈশ্বরচন্দ্ৰ ব্যাকরণ বিভাগে অধ্যয়ন কবিতে আরম্ভ করেন । ঠাকুরদাস প্রত্যহ নবম ঘটিকার সময় ঈশ্বরচন্দ্ৰকে কলেজে লইয়া যাইতেন ; আবার অপরাহ চারিটার সময় তঁহাকে সঙ্গে করিয়া বাসায় প্রত্যাবৰ্ত্তন করিতেন। এইরূপে ছয় মাস অতীত হইলে ঈশ্বরচন্দ্ৰ স্বয়ং কলেজে যাতায়াত করিতে লাগিলেন । ষান্মাসিক পরীক্ষার পর ঈশ্বরচন্দ্ৰ পাচ টাকা বৃত্তিলাভ করেন। ঈশ্বরচন্দ্ৰ অত্যন্ত খৰ্বকায় ছিলেন। তঁহাকে এজন্য সহপাঠীদিগের মধ্যে অনেকে “বাঁটুল,” “যশুরে কৈ” প্রভৃতি বলিয়া উপহাস করিত। দেহের অনুপাতে মস্তকটি অধিকতর বড় ছিল বলিয়াই সহপাঠীরা “খাপ্তরে কৈ” বলিয়া ভঁহাকে বিদ্রুপ করিতে আরম্ভ করে। ইহাতে ঈশ্বরচন্দ্র বড় বিরক্ত হইতেন । তিনি বাল্যে একটু তোত লাও ছিলেন; সুতরাং ক্ৰোধ হইলে তাড়াতাড়ি কথা বাহির হইত না। ইহাতে সহপাঠী ও