পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

» °ትŠጓ ভারত-প্রতিভা করেন। ব্যাকরণ শাস্ত্ৰে অন্যান্য ছাত্র অপেক্ষা ঈশ্বরচন্দ্রের প্রতিভার সম্যক ক্ষুদ্রণ হইয়াছিল। অধ্যাপকের নিকটও ঈশ্বরচন্দ্ৰ বহু উদ্ভট শ্লোক শিখিয়াছিলেন । । ব্যাকরণ-শ্রেণীতে অধ্যয়নকালে তিন বৎসরের মধ্যে ঈশ্বরচন্দ্র দুই বৎসর বহু পারিতোষিক পাইয়াছিলেন ; কেবল এক বৎসর তিনি পান নাই। এজন্য অভিমানে তিনি কলেজ ছাড়িয়া দিতে সংকল্প করিয়াছিলেন ; কিন্তু পিতার ও ব্যাকরণ-অধ্যাপকের অননুমোদনে তিনি আপনার ‘সংকল্পকে’ কাৰ্য্যে পরিণত করিতে পারেন নাই। বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ঈশ্বরচন্দ্রের “এক গুয়েমী’ বুদ্ধি পাইতে লাগিল। : তিনি যে বিষয়ে যখন যাহা সংকল্প করিতেন, তাহা হইতে র্তাহাকে বিরত করা অত্যন্ত কঠিন হইত। তবে মুখে তিনি কাহারও কথার প্রতিবাদ কবিতেন না ; কেবল ঘাড় বঁাকাইয়া দাড়াইয়া থাকিতেন। , , সংস্কৃত কলেজে অধ্যয়নকালে ঈশ্বরচন্দ্র ১২৩৭ সালে কলেজের ইংরাজী শ্রেণীতে ছয়মাস মাত্র অধ্যয়ন করিয়াছিলেন । ইহার কয়েক বৎসর। পূৰ্ব্ব হইতে সংস্কৃত কলেজে ইংরাজী শ্রেণী খোলা হয়। দীর্ঘকাল ইংরাজী অধ্যয়নের অভাবে ফলে ঈশ্বরচন্দ্র ইংরাজী ভাষায় তাদৃশ বুৎপত্তি লাভ , করিতে পারেন নাই। উত্তরকালে বহু আয়াস-স্বীকার করিয়া তাহাকে ইংরাজী ভাষা আয়ত্ত করিতে হইয়াছিল ! ঈশ্বরচন্দ্ৰ ব্যাকরণ-শ্রেণীতে তিন বৎসর অধ্যয়ন পূর্বক উহা আয়ত্ত করেন। তার পর ছয়মাসকাল অমর কোষ ও ভট্টকাব্য অধ্যয়ন করিয়াছিলেন। পাঠ্যাবস্থা হইতেই রাত্ৰিজাগরণ করিয়া তাঁহাকে পাঠাভ্যাস করিতে হইত। পাঠ সমাপ্তির পর আহার করিয়া তিনি নিদ্রা যাইতেন। তঁহার পিতা রাত্ৰি বারোটা পৰ্যন্ত জাগিয়া থাকিতেন। তার পর ঈশ্বরচন্দ্রের ঘুম ভাঙ্গাইয়া তাঁহাকে পড়িতে