পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর । እ ዓ ዓ আদেশ করিতেন । সারারাত্ৰি জাগিয়া বালক ঈশ্বরচন্দ্ৰ পাঠাভ্যাস করিতেন। এইরূপ রাত্ৰিজাগরণ ও গুরুতর পরিশ্রমে বালকের সময় সময় স্বাস্থ্যভঙ্গ হইত ; তথাপি পাঠাভ্যাসে। তঁহার বিরতি ছিল না । বাল্যাকালের এই অভ্যাস ঈশ্বরচন্দ্রের ভবিষ্যৎ জীবনে সম্পূর্ণ বিদ্যমান ছিল। এইরূপ গুরুতর শ্রম করিয়া সারাজীবনই তিনি কাটাইয়া দিয়াছিলেন। নবম বৎসর সময় বালক ঈশ্বরচন্দ্ৰ কলেজে প্ৰবিষ্ট হন । ইহার দুই বৎসর পরে একাদশ বর্ষ বয়ঃক্রমকালে তাহার উপনয়ন-সংস্কার সম্পন্ন হয়। অনভ্যাসের ফলে কিছুদিন পরে ঈশ্বরচন্দ্ৰ সন্ধ্যা-আহ্নিক বিশ্বত হন ; কিন্তু পাছে পিতা জানিতে পারেন, এই আশঙ্কায় তিনি সন্ধাবন্দনাদির অনুষ্ঠানগুলি সম্পাদনা করিতেন। দ্বাদশ বৎসর বয়ঃক্রমকালে তিনি কলেজের কাব্যশ্রেণীতে প্ৰবিষ্ট হন । তঁহার সতীর্থগণের সকলেই উত্তর কালে সবিশেষ প্ৰসিদ্ধি লাভ করিয়াছিলেন ; কিন্তু ঈশ্বরচন্দ্রের প্রতিভা সকলকে অতিক্ৰম করিয়া গিয়াছিল। অধ্যাপকগণ প্রতিপদে বালক ঈশ্বরচন্দ্রের ধীশক্তির পরিচয় পাইয়া চমৎকৃত হইতেন । প্ৰথম বৎসরের পরীক্ষায় ঈশ্বরচন্দ্ৰ সাহিত্যে প্ৰথম স্থান অধিকার করেন । এই বৎসরে তঁহাদের পাঠ্য ছিল,-রঘুবংশ, কুমারসম্ভব, রাঘবপাণ্ডৱীয় প্রভৃতি গ্ৰন্থ। দ্বিতীয় বর্ষে শকুন্তলা, মেঘদূত, উত্তরচরিত, মুদ্রারাক্ষস, কাদম্বরী, বিক্রমোর্বিশী, দশকুমার-চরিত প্ৰভৃতি কাব্য-নাটক ঈশ্বরচন্দ্রের কণ্ঠাগ্রে ছিল। প্ৰথম হইতে শেষ পৰ্য্যন্ত যে কোনও কাব্য বা নাটক পুস্তক না দেখিয়া তিনি আবৃত্তি করিয়া যাইতে পারিতেন। এই সময়ে । তীস্থার অনুবাদের শক্তি স্মৃরিত হয়। সংস্কৃত ও প্রাকৃতে তিনি আলাপ করিতে পারিতেন ; একটুও বাধিত না, অনর্গল বলিয়া যাইতে পারিতেন। দ্বৈতীয়বর্ষের পরীক্ষায়ও ঈশ্বরচন্দ্র সর্বশ্রেষ্ঠস্থান অধিকার করেন। তঁহার S R