পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>br° 5°5-空。 তিভা কলেজে পাঠ্যকালে ঈশ্বরচন্দ্রের কাব্যরচনার দিকেও চিত্ত আকৃষ্ট হইয়াছিল কাব্য ও ব্যাকরণ উভয় বিষয়েই তঁহার অনন্যসাধারণ অধিকার ছিল। অল্প সময়ের মধ্যেই বালক ঈশ্বরচন্দ্র সংস্কৃত ভাষায় অতি উপাদেয় কবিতা রচনা করিয়া ফেলিতেন। তঁহার পাণ্ডিত্য ও কবিতা রচনার শক্তি দেখিয়া পণ্ডিতগণও তঁহার ভূয়সী প্ৰশংসা কীৰ্ত্তন করিতেন। ঈশ্বরচন্দ্রের পাণ্ডিত্যের খ্যাতি ক্ৰমে চারিদিকে পরিব্যাপ্ত হইতে লাগিল। অনেকে এইরূপ সুপাত্রের সহিত কন্যার বিবাহ দিবার জন্য অত্যন্ত ব্যগ্র হইয়াও উঠিলেন। অতঃপর ক্ষীরপাই গ্রামনিবাসী শত্রুঘ্ন ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের কন্যা * দীনময়ীর সহিত ঈশ্বরচন্দ্রের পরিণয় ক্রিয়া ংসাধিত হয়। তখন দীনময়ীর বয়ঃক্রম সাত বৎসর মাত্র । ঈশ্বরচন্দ্ৰ অল্পবয়সে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হইতে প্ৰথমতঃ সম্মত হন নাই, কিন্তু পিতার আদেশ লজঘন করিবার সামর্থ্য র্তাহার ছিল না। কাজেই বাধ্য হইয়া পরিশেষে তঁহাকে সম্মত হইতে হইয়াছিল। ১২৪২ সালে ঈশ্বরচন্দ্ৰ অলঙ্কার শাস্ত্ৰ শিখিবার জন্য নির্দিষ্ট শ্রেণীতে প্রবিষ্ট হন। সহাধ্যায়ীদিগের মধ্যে ঈশ্বরচন্দ্ৰই সৰ্ব্বাপেক্ষা বয়ঃ কনিষ্ঠ ছিলেন। এক বৎসরের মধ্যে তিনি অনেকগুলি অলঙ্কার গ্রন্থ আয়ত্ত করেন। বাৎসরিক পরীক্ষায় তিনি সর্বোচ্চস্থান অধিকার করিয়া পুরস্কার লাভ করেন। ঈশ্বরচন্দ্ৰ মাসিক ৮১ টাকা হারে বৃত্তি পাইতেছিলেন। তখন উহাই প্ৰধান বৃত্তি ছিল। বৃত্তির টাকা তিনি পিতার হন্তে প্ৰদান করিতেন। পিতা কিছুকাল বৃত্তির সমুদয় টাকাই লাইতেন, পরে সম্পূর্ণ লইতেন না। ঈশ্বরচন্দ্ৰ বৃত্তির টাকার সাহায্যে হস্তলিখিত পুথি ক্ৰয় করিতেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বিখ্যাত পুস্তকগারে এই সকল হস্তলিখিত পুথি সযত্নে সংরক্ষিত ছিল।