পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর। میاډا( হইবার বাসনায় কলিকাতার বাসায় ব্যয়-সঙ্কোচ করিয়াছিলেন। জলযোগ ভিজা ছোলা ও বাতাসার সাহায্যে সম্পন্ন করিতে হইত। এ সময় ঈশ্বরচন্দ্রের পরিশ্রমও সমধিক বদ্ধিত হইয়াছিল। দুই বেলাই তাহাকে রন্ধন করিতে হইত। এই অবস্থায় বেদান্ত শাস্ত্রের পর তিনি ন্যায়শাস্ত্ৰ অধ্যয়ন করিতে আরম্ভ করেন। ন্যায়ের পরীক্ষায় ঈশ্বরচন্দ্ৰ প্ৰথমস্থান অধিকার পূর্বক একশত টাকা পুরস্কার লাভ করেন। কবিতা রচনায়ও একশত টাকা পারিতোষিক পাইয়াছিলেন। সমগ্ৰ দৰ্শনশাস্ত্ৰ পাচ বৎসরে সমাপ্ত করিয়া, কলেজ হইতে ঈশ্বরচন্দ্ৰ ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি লাভ করেন। এই সময় তঁহার বয়ক্রম মাত্র বিংশতি বৎসর । , ১২৪৮ সালে ( ইংরাজী ১৮৪১ খৃষ্টাব্দে ) পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর মহাশয় ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের প্রধান পণ্ডিতের পদে নিযুক্ত হন । এই পদের বেতন ৫০২ টাকা ছিল। এই কলেজে অধ্যয়ন করিয়া সিবিলিয়ানদিগকে মাসে মাসে পরীক্ষা দিতে হইত। বিদ্যাসাগর মহাশয় এই কাৰ্য্য গ্রহণের পর ইংরাজী শিক্ষার প্রয়োজন অনুভব করিলেন। সিবিলিয়ানদিগের প্রশ্নোত্তর কাগজ পরীক্ষার সময় হিন্দী শিক্ষারও আবশ্যকতা অনুভূত হইল। বিদ্যাসাগর মহাশয় জনৈক হিন্দীভাষায় অভিজ্ঞ পণ্ডিতের নিকট হইতে উক্ত ভাষা শিখিয়া লইলেন। তারপর ডাক্তার নীলমাধববাবুর নিকট প্রত্যহ সন্ধ্যাকালে ইংরাজী শিখিবার জন্য যাতায়াত করিতে লাগিলেন। এখানে কিছুদিন ইংরাজী শিক্ষার পর, হিন্দুকলেজের জনৈক ছাত্র রাজনারায়ণ গুপ্তের নিকট রীতিমত ইংরাজী ভাষা শিক্ষণ করেন। শোভাবাজার রাজবাটিতে গিয়া পরিশেষে তিনি আনন্দকৃষ্ণ বসুর নিকট শেক্ষাপীয়রের নাটকাবলী অধ্যয়ন করিতে লাগিলেন। এইখানে অক্ষয়কুমার দত্তের