পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর। 〉ク& ব্যক্তি দুইবেলা আহার করিতেন। এ সময়েও পৰ্য্যায়ক্রমে স্বয়ং বিদ্যাসাগর মহাশয়কেও রন্ধন করিতে হইত। ত্ৰিশ টাকায় কলিকাতার ব্যয়ভার বহন করিয়াও সাধ্যানুসারে আর্ত ও পীড়িতের সাহায্য করিতেন । করুণাময় বিদ্যাসাগরের দৃষ্টি এদিকে চিরদিনই সমভাবে বিদ্যমান ছিল । পীড়ি,তর সেবাশুশ্ৰষায় বাল্যকাল হইতেই বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্ৰগাঢ় অনুরাগ ছিল ; কালে উহা ক্রমেই বৰ্দ্ধিত হইয়াছিল। একবার নারিকেলডাঙ্গায় ঈশানচন্দ্ৰ ভট্টাচাৰ্য্যের বিসূচিকা পীড়া হইয়াছে শুনিবা মাত্র বিদ্যাসাগর মহাশয় সেখানে উপস্থিত হইয়া নিজের ব্যয়ে তঁহার চিকিৎসার বন্দোবস্ত করেন। রোগীর মলমূত্র পরিষ্কারেও তঁহার বিন্দুমাত্ৰ ঘূণা জন্মে নাই। পীড়িতের সেবা সম্বন্ধে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনে অনেক ঘটনা শুনা যায়। একবার তঁহার বাসার সন্নিকটস্থ কোনও ভদ্রলোকের ভূত্যের কলেরা হয় । উক্ত ভদ্ৰ মহোদয় রোগাক্রান্ত তৃত্যকে বাট হইতে বাহিরে, পথে রাখিয়া আসেন। এই সংবাদ পাইবামাত্র করুণার অবতার বিদ্যাসাগর মহাশয় সেই পীড়িত ভৃত্যটিকে নিজের বলিষ্ঠ বাহুর দ্বারা উত্তোলন করিয়া বাসায় উপস্থিত হন এবং নিজের শয্যায় তাহাকে শায়িত করিয়া তাহার চিকিৎসা ও শুশ্ৰষার ব্যবস্থা করেন । অল্পদিনেই লোকটি রোগ भूख् श्छ्न् । এরূপ ঘটনা বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবিতকালে বহুবার ঘটিয়াছিল । , আত্মীয় বন্ধুবান্ধব সকলেরই উপকারের জন্য বিদ্যাসাগর মহাশয় সর্বদা সমুৎসুক থাকিতেন। সুযোগ ও সুবিধা পাইলেই তিনি বেকার আত্মীয় বন্ধুর চাকরী করিয়া দিতেন। একবার সংস্কৃত কলেজে ৮০২ বেতনের এক অধ্যাপকের পদ খালি হয়। মার্শেল সাহেৰ বিদ্যাসাগর মহাশয়কে উক্ত পদ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন ; কিন্তু তৎপূর্বে বিদ্যাসাগর মহাশয়