। शांब्रद्ध-क्षडिडा নাই। নীরবে, গোপনেই অনেক সময় এই সকল মহদানুষ্ঠান সম্পন্ন হইত। لي ১২৭৬ সালে বিদ্যাসাগর মহাশয় মেট্ৰপলিটন ইনষ্টিটিউশনের প্রতিষ্ঠা করেন। এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার জন্য বিদ্যাসাগর মহাশয়কে, যথেষ্ট অর্থ বায় করিতে হইয়াছিল। তিনি স্বয়ং বিদ্যালয়-পরিদর্শন করিতেন। রুগ্ন-শরীরেও তিনি কৰ্ত্তব্য সম্পাদনে উদাসীন ছিলেন না। "؟ ১২৭৩ সালে বাঙ্গলাদেশে ভীষণ দুর্ভিক্ষ হয়। সে দুভিক্ষের বর্ণনা পাঠ করিলে শরীর আতঙ্কে, বিভীষিকায় শিহরিয়া উঠে। বীরসিংহু গ্রামও দুর্ভিক্ষের কবল হইতে মুক্তিলাভ করিতে পারে নাই। করুণার অবতার বিদ্যাসাগর মহাশয়, স্বগ্রামে অন্নসত্রের প্রতিষ্ঠা করেন। ইতিপূৰ্ব্বে তাহার জননী অনেককেই অন্ন বিতৰণ করিতেছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় বীরসিংহ ও সন্নিহিত দশ বারখানি গ্রামের নিরন্ন নরনারীর জন্য অন্নসত্ৰ , স্থাপন করেন। দুৰ্ভিক্ষ প্ৰপীড়িত বালক বালিকা, যুবক যুবতী, বৃদ্ধ বুদ্ধারা যখন আহারে বাসিত, তখন বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জয়ধ্বনিতে দিষ্মণ্ডল পরিপূর্ণ হইত। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বাড়াতে কখনও দ্বারবান ছিল না। যাহার ইচ্ছা সে গিয়া অনায়াসে। তঁহার দর্শন পাইত । একবার জনৈক ব্ৰাহ্মণ দ্বিপ্রহরে তঁাহার ভবনে উপস্থিত হইয়া বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সঠিত সাক্ষাৎ করিতে চাহিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়কে তিনি চিনিতেন। না। ১. বাহিরের ঘরে বিদ্যাসাগর মহাশয় স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন। লোকটি উত্ত্বেঞ্জিত ও বিরক্ত ? ভাবে বিদ্যাসাগর মহাশয়কে, ডাকিয়া দিতে বলিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় কারণ জিজ্ঞাসা করিলে, আগম্ভক ব্ৰাহ্মী বলিলেন, “অনেক বড়লোকের বাড়ী ঘুরিয়া আসিলাম, কাহারও
