পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর । ,88“ጎ দেখা মিলিল না। একবার দেখিয়া যাই, বিদ্যাসাগরই বা কি রকম লোক।” বিদ্যাসাগর মহাশয় তাহাকে আহারাদি করিয়া শান্ত হইতে অনুরোধ করিলেন । ব্ৰাহ্মণ বলিলেন যে, তিনি বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সহিত সাক্ষাৎ না করিয়া জলস্পর্শ করিবেন না। ইতিমধ্যে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ইঙ্গিতে জলখাবার আসিল। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অনুরোধ এড়াইতে না পারিয়া ব্ৰাহ্মণ জলযোগ করিলেন। তারপর বিদ্যাসাগর মহাশয়ের দর্শনপ্রার্থী হইলে তিনি আত্মপ্ৰকাশ কৱিলেন। ব্ৰাহ্মণ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অপূর্ব সৌজন্য ও মিষ্ট ব্যবহারে পরম পুলকিতচিত্তে গৃহে ফিরিয়া গেলেন। ১৮৬৬ খৃষ্টাব্দে উত্তরপাড়ায় বালিকা বিদ্যালয় পরিদর্শনে গমন করিবার সময় গাড়ী উলটাইয়া বিদ্যাসাগর মহাশয় পড়িয়া যান। তাহাতে তাহার যকৃতে ভীষণ আঘাত লাগে । বহুদিন চিকিৎসার পর তিনি প্ৰাণে বঁচিলেন বটে ; কিন্তু যকৃতের দোষ আর সারিল না। এই সময় হইতেই তাহার বজবৎ কঠিন শরীর ভাঙ্গিযা পড়িয়াছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সর্বসমেত সাতটি ভ্রাতা। তন্মধ্যে চতুৰ্থ, পঞ্চম ও সপ্তম ভ্রাতা ইতিপূর্বেই পরলোকগমন করেন। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও ষষ্ঠ ভ্ৰাতা সে সময় জীবিত ছিলেন । বিদ্যাসাগর মহাশয় ভ্রাতা ও পরিাবারবর্গের সকলকেই সন্তুষ্ট রাখিতে চেষ্টা করিতেন। সকলের মঙ্গলোদেশ্যে তিনি যথেষ্ট অর্থব্যয় করিতেন । কিন্তু কাহাকেও সন্তুষ্ট করিতে তিনি পারেন নাই । ১২৭৫ সালে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বীরসিংহস্থ বাটী অগ্নিমুখে ধ্বংস প্রাপ্ত হয়। বিদ্যাসাগর মহাশয় তখন দেশে ছিলেন না । ইহার কিছুকাল পরে বিদ্যাসাগর মহাশয় বীরসিংহে আসেন। সে সময় একটি