পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিস্থাসাগয় । . دهد পিতার পাতে প্ৰসাদ গ্রহণ করিতে ভ্ৰমেও কখনও তিনি দ্বিধা বোধ করিতেন না। কাশীধামে অবস্থানকালে জনৈক ব্ৰাহ্মণ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ধৰ্ম্মমত জানিতে চাহিয়াছিলেন। উত্তরে বিদ্যাসাগর মহাশয় বলেন, “আমার মত এ পৰ্য্যন্ত কাহাকেও বলি নাই, বলিবও না । তবে আপনি যদি মনে করেন, গঙ্গাস্নানে আপনার শরীর পবিত্র থাকে,শিবপূজা করিয়া মনে শান্তি ও পবিত্রতার উদয় হয়, তবে উহাই আপনার ধৰ্ম্ম । বিদ্যাসাগর মহাশয় কাশীধাম ও বিশ্বেশ্বরকে মানেন না শুনিয়া পাণ্ডারা একবার তাহাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিল, “আপনি তবে মানেন কি ?” তিনি উত্তরে বলেন, “আমার বাবা বিশ্বেশ্বর আর আমার মা বিশ্বেশ্বরী। আমি আর কিছু মানি না।” বিদ্যাসাগর মহাশয় পরমহংসদেবকে সরলস্বভাব ও সুদৃঢ় বিশ্বাসী ত্যাগী বলিয়া শ্ৰদ্ধা করিতেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সহিত প্ৰথম দিন দর্শনের পরই পরমহংসদেব বলেন, “আজি সাগরে আসিয়াছি কিছু রত্ন পাইব ।” বিদ্যাসাগর মহাশয় উত্তরে বলেন, “এ সাগরে খালি শব্দের শামুক, জ্ঞানের রত্ন নাই।” এই আলাপের পর হইতেই বিদ্যাসাগর মহাশয় পরমহংসদেবকে অত্যন্ত গ্ৰীতির চক্ষে দেখিতেন। " ১২৭৯ সালের পর হইতে বিদ্যাসাগর মহাশয় পুত্রের উপর অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হন। নানাকারণে ক্ৰমে পিতা ও পুত্রের মধ্যে প্ৰকাণ্ড ব্যবধানের সমুদ্র গর্জন করিয়া উঠিল। কৰ্ত্তব্যানুরোধে ঈশ্বরচন্দ্ৰ পুত্ৰকে । বৰ্জন করিয়াছিলেন বটে ; কিন্তু ঊর্তাহার পুত্ৰস্নেহেঁর ধারা একেবারে বিলুপ্ত श्न नांई। বিদ্যাসাগর মহাশয় অতঃপর সাওতাল পরগণার অন্তর্গত কৰ্ম্মাটার নামক স্বাস্থ্যপ্ৰদ স্থানে একটি নিভৃত-নিবাস প্রস্তুত করেন। বিশ্রামের