পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R e IV ভারত-প্রতিভা জ্ঞান জন্মিল। মুরশিদাবাদে অবস্থানকালেই তিনি সৰ্ব্বদাই , সাধু, দরবেশ, মৌলবী, ঈশ্বরপরায়ণ ব্যক্তিবর্গের সহিত সমধিক মিশিতেন; ভিন্ন ভিন্ন দেশে পৰ্যটন উপলক্ষোও তিনি বহুতর সাধু, দরবেশ ও পণ্ডিতের সংশ্রবে। আসিয়াছিলেন । ইহার ফলে তঁাচার চরিত্রও মহনীয় হইয়া উঠিয়াছিল। জ্ঞানের প্রদীপ্ত আলোকের সাহায্যে তিনি যথার্থরূপেই বুঝিয়েছিলেন যে, সংসারের ভোগ-বিলাসে, ইন্দ্ৰিয়-পরিচর্যায় মানুষের প্রকৃত আনন্দ লাভ ঘটিতে পারে না } এজন্য তিনি কামনাকে সৰ্বতোভাবে জয় করিবার চেষ্টা করিয়া পরিণামে সার্থকতা লাভ করিয়াছিলেন । বিদ্যার্জনের সঙ্গে সঙ্গে তিনি শারীরিক বলের চর্চায় বিশেষ অবহিত ছিলেন । তঁাচার শরীরে যথেষ্ট সামর্থ্য ছিল । মল্লবিদ্যা তিনি আয়ত্ত করিয়াছিলেন । অশ্বারোহণ, তরবারী ক্রীড়া, সন্তরণ-সকল বিষয়েই তঁহার পর্যাপ্ত অধিকার ছিল। সুদৃঢ় দেহ, অটুট স্বাস্তা না থাকিলে, মনের স্বাস্থ্যও অব্যাহত থাকে না, এ তত্ত্বটি তিনি ভালরূপেই বুঝিয়াছিলেন। সেজন্য বায়াম-পটুতার দিকে তঁহার বিশেষ লক্ষ্য ছিল। মক্কা ও মদিনা তীর্থ দর্শনের পর তিনি নাজফ নামক স্থানে গমন করেন। সে সময়ে নাজাফ এসিয়া মহাদেশের মধ্যে আরবী ও ফারসী ভাষা চর্চার প্রধান কেন্দ্ৰস্থল ছিল। এই স্থানে যাইবার সময় তিনি পথিমধ্যে দসু্যদলের দ্বারা আক্রান্ত হন। দসু্যাগণ র্তাহার যথাসৰ্ব্বস্ব লুণ্ঠন করিয়া লইয়া যায়। বিদেশে, সহায়শূন্য স্থানে, কপৰ্দকবিহীন অবস্থায় তঁহাকে ঘোরতর অসুবিধা ভোগ করিতে হইয়াছিল; কিন্তু মহসীন তথাপি বিচলিত হন নাই। ভগবানে তঁহার অচলা ভক্তি গ বিশ্বাস ছিল । তিনি দারুণ দুর্দশায় পড়িয়া ভগবানে বিশ্বাস হারান