পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&ys ऊiझङ-क्षङिङ কেশবচন্দ্রের অনুরোধে ‘গৌরমোহন বিদ্যালঙ্কার মহাশয় তাহার কলিকাতাস্থিত। বাসায় রামতনুকে স্থান দিলেন। বাসায় স্ত্রীলোকের সংশ্লব ছিল না।” পুরুষগণ পালাক্রমে রন্ধনাদি গৃহকৰ্ম্ম করিতেন। বাসায় লোকেরা বালক রামতনুর দ্বারা রন্ধনের কাৰ্য্য করাইয়া লইতেন। এজন্য ভাঁহার পাঠের বড়ই অসুবিধা হইত ; কিন্তু উপায় ছিল না। ক্ৰমে কেশবচন্দ্র ভ্রাতার কষ্টের কথা অবগত হইয়া ভঁাহাকে স্বীয় পিতার মাতুলপুত্র রামকাস্তু খাঁ মহাশয়ের শ্যামপুকুরস্থিত ভবনে থাকিবার বন্দোবস্তু করিয়া দিলেন। এখানে আসিবার পর রামতনুর অনেক বিষয়ে সুবিধা হইল। খাঁ মহাশয় সপরিবারে কলিকাতায় থাকিতেন। তদীয় পত্নী বালক রামতনুকে স্নেহের চক্ষে দেখিতেন। এতদ্ব্যতীত এখানে আসিয়া রামতনুর আর একটি লাভ হইল। তঁহার সহপাঠী দিগম্বর মিত্র সে সময় শ্যামবাজারে মাতুলালয়ে থাকিয়া পড়াশুনা করিতেছিলেন | রামতনু, দিগম্বরের সহিত প্ৰায় দেখা করিতে যাইতেন। সেখানে তাহার মাতা বালক রামতনুকে স্নেহের চক্ষে দেখিতেন, তাহ সকল বিষয়ে সৰ্ব্বদা সংবাদও গ্রহণ করিতেন। বিদেশে রামতনু দিগম্বরের ‘জননীর নিকট হইতে মাতৃস্নেহের অধিকারী হইয়াছিলেন। রামতনুর যখন যে বিষয়ের অভাব হুইত, এই অশেষ স্নেহশালিনী মহিলা তখনই উঁহার সে অভাব মোচন করিতেন। কলিকাতার মত প্রলোভনপূৰ্ণ । স্থানে রামতনু যে সুকুমার বয়সে পাপ প্রলোভনকে দমন করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন, তাহার প্রধান হেতু রামকান্ত খাঁ মহােদয়ের পত্নী ও দিগম্বর মিত্রের জননীর স্নেহের প্রভাব। , : ১৮২৮ খৃষ্টাব্দে রামতনু স্কুল সোসাইটীর বিদ্যালয় হইতে মাসিক পাঁচ টাকা বৃত্তিলাভ করেন ও তৎপরে হিন্দু কলেজে প্রবেশ করেন। সে সময়ে द्धि