পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাসন অথবা নিৰ্য্যাতন তঁহাকে সে সংকল্প হইতে ভ্ৰষ্ট করিতে পারে। নাই। লাহিড়ী মহাশয় উত্তরপাড়া স্কুলে কায়মনোবাক্যে শিক্ষকতা করিতে লাগিলেন। তঁহার শিক্ষাদান প্ৰণালীর গুণে বালকগণ অধীত বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞানলাভ করিত। সমগ্র পুস্তক হয় ত তিনি পড়াইয়া উঠিতে পারিতেন না ; কিন্তু যতদূর পড়াইতেন, তাহাতে ছাত্ৰগণ অপৰ্য্যাপ্ত জ্ঞানলাভ করিত এবং দক্ষতার সহিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইত। • গ্রামতনুর চরিত্রের একটি প্ৰধান গুণ এই ছিল যে, তিনি ছাত্রবর্গকে । শিক্ষা দিবার সময় কোনও বিষয়ে নিজের অজ্ঞতাকে গোপন করিতেন না। তিনি নিজে যে বিষয় জানিতেন না, অসঙ্কোচে বালকদিগের নিকট তাহা স্বীকার করিতেন, এবং পরে জানিয়া শুনিয়া তাহাদিগকে সে ‘সম্বন্ধে শিক্ষা দিতেন। ছাত্ৰগণের সহিত বঞ্চনা করা অথবা যে কোনও প্রকারে সেই বিষয়টি বুঝাইয়া দিবার চেষ্টা, তিনি কখনও করিতেন না। প্ৰবঞ্চনা করাকে তিনি অমার্জনীয় অপরাধ বলিয়া মনে করিতেন। " ১৮৫৬ খৃষ্টাব্দের পর তিনি বারাসত বিদ্যালয়ে বদলি হইয়া যান , সিপাহী-বিদ্রোহের ঘোরতর দুর্দিনে রামতনু বারাসতেই থাকিতেন। তৎপরে ১৮৫৮ খৃষ্টাব্দে তিনি পুনরায় কৃষ্ণনগর কলেজে প্রেরিত হন। অল্পকাল সেখানে অবস্থানের পর কলিকাতার সন্নিহিত রসাপাগলাস্থিত (বৰ্ত্তমান টালীগঞ্জ) ইংরাজী বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শিক্ষকরূপে নিযুক্ত হইয়া তথায় গমন করেন। এখানে অবস্থান কালে কলিকাতাস্থিত, বন্ধুবর্গের সহিত ভঁাহার সর্বদাই দেখা সাক্ষাৎ হইত। রামগোপাল ঘোষের ‘বটীতে অবসরকােল তিনি প্রায়ই যাপন করিতেন। সেখানে সুরাপান 幽 * ভাবেই চলিত; তবে রামতনুর জন্য অন্যান্য বন্ধুকে অনেকটা সংযত হইয়া চলিতে হইত। একবার রামগোপাল ঘোষ মহাশয়ের কোনও