পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

द्रश्लिङ् लृङ्क्षेि ! ২৩১ নিজের অপরাধ স্বীকার করিয়া বলেন যে, তিনি তাহার উপর সন্দেহ করিয়াছিলেন। এই অন্যায় সন্দেহের জন্য সে যেন তঁহাকে মার্জনা করে। এরূপ সত্যনিষ্ঠা ও ন্যায়পরায়ণতার দৃষ্টান্ত রামতনুর জীবনে একাধিকবার দেখা যায়। এরূপ সত্যবাদিত মানবজীবনের আদর্শ। মধ্যম পুত্র শরৎকুমার পুস্তকের ব্যবসায় অবলম্বন করিয়া বৈষয়িক বিষয়ে ক্ৰমোন্নতি করিতেছিলেন বটে ; কিন্তু লাহিড়ী মহাশয়ের পবিবারে যে ভাঙ্গন ধরিয়াছিল, তাহতে পরিবারে সুখ-শান্তি ছিল না। কনিষ্ঠ পুত্ৰ বিনয়কুমার ম্যালেরিয়া রোগে ভুগিয়া ভুগিয়া শেষে ইহলোক হইতে অপসৃত হইল। ১৮৮৯ খৃষ্টাব্দে তঁহার পত্নী গঙ্গামণি দেবী ও স্বগারোহণ করিলেন। শরৎকুমার ইতিপূর্বেই বিবাহ করিয়াছিলেন। হ্যারিসন রোডে অর্জিত অর্থের দ্বারা বাড়ী নিৰ্ম্মাণ করাইয়া বুদ্ধ রামতনুকে তথায় যথাসম্ভব সুখে রাখিবার ব্যবস্থা করিয়াছিলেন , কিন্তু রামতনু তখন পরলোক যাত্রার জন্য উৎকষ্ঠিত-মন সৰ্ব্বদাই ঈশ্বরাভিমুখী । ১৮৯৮ খৃষ্টাব্দে একদিন তিনি খাট হইতে পড়িয়া গিয়া পা ভাঙ্গিয়া ফেলিমা উত্থানশক্তি হীন হন। ক্রমে তিনি অবসন্ন হইয়া পড়েন। তঁহার স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়। তারপর সাধু রামতনু ১৩ই আগষ্ট তারিখে অনন্ত পথের যাত্রী হইলেন। রামতনু কোনও সাহিত্যিক নহেন ; ধৰ্ম্মোপদেষ্টার আসনও তিনি কোনদিন অধিকার করেন নাই। মহাকৰ্ম্মী পুরুষ বলিয়াও তিনি প্ৰসিদ্ধি লাভ করেন নাই। চিরজীবন তিনি মৌনভাবে সকল প্রকার আন্দোলনের পশ্চাতে থাকিয়া নীরবে নির্দিষ্ট কাৰ্য্য করিয়া গিয়াছেন। রাজনীতিক, সামাজিক অথবা ধৰ্ম্মসংক্রান্ত কোনও বিষয়ে তিনি কোনও দিন নেতার আসন গ্ৰহণ করেন নাই। অথচ তিনি তঁহার চরিত্রের