পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R ভারত-প্ৰতিভা মাধুৰ্য্য, মহত্ত্ব এবং অমায়িক ব্যবহারের জন্য আদর্শচরিত্র মহাত্মার আসন অনায়াসে অধিকার করিয়া গিয়াছেন। তঁহাবি চরিত্রের দৃঢ়তা, সত্যনিষ্ঠা ও ভগবানে বিশ্বাস ও প্ৰেম অতুলনীয়। রামতনুর মত মহৎ ও সাধুচরিত্র ব্যক্তি সকল দেশে, সকল সময়ে, ঘরে ঘরে পাওয়া যায় না ; অনেক সাধনায় এমন রত্ন বাঙ্গালা দেশের উর্বর ভূমি প্রসব করিয়াছিল। “স্বধৰ্ম্মে নিধনং শ্ৰেয়ঃ পরোধৰ্ম্ম ভয়াবহ” এই মতবাণীব মূল্য রামতনু না বুঝিলেও সেজন্য তঁাহাকে দোষ দেওয়া যায় না। বাঙ্গালার আকাশ তখন ঘনান্ধকারে সমাচ্ছন্ন, ঘোরতর দুৰ্য্যোগে বাঙ্গালার নগর ও পল্পী তখন মৃত্যুর পথে, ধ্বংসের পথে চলিতেছিল। পাশ্চাত্যা শিক্ষার আলোকসম্পাতে ৰাঙ্গালীর চক্ষু তখন ঝলসিয়া গিয়াছে, দেশের মহামূল্য রত্নসম্ভার আবর্জনার প্রস্ত পে অন্তহিত । কাজেই সে সময়ে প্ৰতীচা শিক্ষাৰ মোহে মানুষমাত্রেরই কোন কোন বিষয়ে ভ্ৰমপ্ৰমাদ ঘটা অসম্ভব ছিল না ; কিন্তু হৃদয়ের অন্তস্তলে তিনি যে সততা ও সত্যনিষ্ঠাকে উপলব্ধি করিয়াছিলেন, যাহাকে ধ্রুব বলিয়া বিশ্বাস করিয়াছিলেন, তাহাকে জীবনে এক মুহূৰ্ত্তেল জন্যও বিস্মিত হন নাই। রামতনুর জীবন হইতে ইহাই শিক্ষনীয়, গ্ৰহণীয়। ) তাহার সত্যনিষ্ঠা, আন্তরিকতা এবং কৰ্ত্তব্যপরায়ণতা মানবের আদর্শ। যুগসন্ধিক্ষণে রামতনুর মত পুত্ৰ পাইয়া বঙ্গজাননী কৃতাৰ্থ হইয়াছিলেন, বাঙ্গালীও ধন্য হইয়াছে। তাৎকালিক শিক্ষিত সম্প্রদায়ের উপর তাহার চরিত্রের অসাধারণ প্রভাব ছিল। স্বৰ্গীয় দীনবন্ধু মিত্ৰ ভঁাহার “সুরধুনী” কাব্যে রামতনু সম্বন্ধে লিখিয়াছিলেন :- “এক দিন উঠার সনে করিলে যাপন । দশ দিন থাকে ভাল চর্বিনীত মন ৷” Myndingöllunior