পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. Nt• ভারত-প্রতিভা মহামূল্য রত্নসম্পদে পরিপূর্ণ হইয়া উঠিল। বঙ্কিমচন্দ্রের গ্রন্থাবলী হইতে প্রচুর অর্থও তাহার ধনভাণ্ডারকে স্ফীত করিয়া তুলিল। এই সময়টা বঙ্কিমচন্দ্রের সকল প্রকার সাধনার চরম অবস্থা। এই সময়েই র্তাহার হৃদয়ে ধৰ্ম্মভাব প্রবল হইয়া উঠে। HAHH gDDB BDDBB BDDD DB D DBBuBD S S DDB পরে তত্ৰত্য তদানীন্তন ম্যাজিষ্ট্রেট বিকল্যাণ্ড সাহেবের সহিত বঙ্কিমচন্দ্রের বিবাদ বাধিতে লাগিল । পুলিসের পক্ষ হইতে যে সকল মোকদ্দমা বিচারের জন্য বঙ্কিমচন্দ্ৰেয়। এজলাসে আসিত, বিচারে বঙ্কিমচন্দ্ৰ প্ৰায়ই এসে সকল মোকদ্দমার আসামীকে মুক্তিদান করিতেন । এ জন্য জেলার ম্যাজিষ্ট্রেট বিকল্যাণ্ড সাহেব তাহার উপায় সন্তুষ্ট ছিলেন না, তৎপরে হাওড়া মিউনিসিপ্যালিটী সংক্রান্ত একটি ঘটনা উপলক্ষ করিয়া ব্যক্ল্যাণ্ড সাহেবের সহিত বঙ্কিমচন্দ্রের বিবাদ আরও প্ৰচণ্ড হইয়া উঠে । মিউনিসিপ্যালিটার কর্তৃপক্ষ ইংরাজীতে একটি ইস্তাহার প্রকাশ করেন যে, দহুমান আচ্ছাদন দ্বারা কেহ গৃহ-নিৰ্ম্মাণ করিতে পরিবে না । বাঙ্গালাতেও উহার অনুবাদ প্রচারিত হয় ; কিন্তু তদানীন্তন মিউনিসিপ্যালিটীর সম্পাদক জনৈক সাহেব উহার এমন বঙ্গানুবাদ করেন যে, তাহার অর্থ হৃদয়ঙ্গম করা অসম্ভব। জনৈক বৃদ্ধ গোলপাতার ঘর নিৰ্ম্মাণ করায় মিউনিসিপ্যালিটী সেই বৃদ্ধার নামে নোটিশ জারি করিলেন । মিউনিসিপ্যালিটীর চেয়ারম্যান সাহেব বৃদ্ধাকে ফৌজদারীতে সোপর্দ .া করায়, জেলার ম্যাজিষ্ট্রেট বিচারার্থ উক্ত বুদ্ধাকে বঙ্কিমচন্দ্রের নিকট প্রেরণ করেন। বঙ্কিমচন্দ্র মিউনিসিপ্যালিটীর অপূৰ্ব্ব বাঙ্গালাভাষাজ্ঞান দেখিয়া বুদ্ধাকে মুক্তি প্ৰদান করিলেন। সে দুৰ্বোিধ ভাষার