歌敬y ভাবত-প্ৰতিস্তা তিনি শারীরতত্ত্ব অধ্যয়ন করিয়াছিলেন । বহুসংখ্যক চিকিৎসা সংক্রাস্তু মূল্যবান গ্ৰন্থ ক্ৰয় করিষা স্বয়ং বিশেষভাবে সে সকল বিষয় পাঠ করিয়াছিলেন। অসাধারণ প্ৰতিভার সাহায্যে অতি সহজেই তিনি কঠিন বিষয় সমূহ আয়ত্ত করিতে পাবিতেন। সঙ্গীতশাস্ত্ৰ সম্বন্ধেও তিনি অনভিজ্ঞ ছিলেন না। তাহার কণ্ঠস্বর তত * ভাল ছিল না বটে, কিন্তু তানলিয়বোধ যথেষ্ট পবিমাণে বিদ্যমান ছিল। যদুভট্ট তানবাজ নামক জনৈক প্ৰসিদ্ধ গাযককে মাসিক বেতন দিয বঙ্কিমচন্দ্ৰ তাহাব নিকট হইতে গাওঁবাস্থ্য শিক্ষা করিয়াছিলেন। জ্যোতিষশাস্ত্ৰ সম্বন্ধে ও তাহাব জ্ঞান ছিল । জনৈক প্ৰসিদ্ধ জ্যোতিবীর নিকট তিনি কিছুকাল জ্যোতিষশাস্ত্ৰ শিক্ষা কবিয়াছিলেন । “সীতা রামে৷” তাহার জ্যোতিষশাস্ত্ৰে জ্ঞানের অনেক পরিচািল আছে । বঙ্কিমচন্দ্রের কযেকজন বিশিষ্ট বন্ধু ছিলেন । বন্ধুপ্রীতির নিদর্শন স্বরূপ কয়েকখানি গ্ৰন্থ তিনি বন্ধুগণকে উৎসগ কবিয়াছেন । দীনবন্ধু মিত্র ও জগদীশনাথ রায় তাহার অন্তরঙ্গ সুহৃদ ছিলেন। দীনবন্ধু সম্মিলনে রসািরঙ্গেবি উচ্ছাস বাহিত । বঙ্কিমচন্দ্ৰ জগদীশনাথকে সোদবোপম স্নেহ করিতেন। বঙ্কিমচন্দ্রের বন্ধুবাৎসল্য অসাধারণ ছিল । যাহাকে তিনি ভালবাসিতেন, তাহার জন্য তিনি নিজের প্রাণ পৰ্য্যন্ত দিতে পাবিতেন । বঙ্কিমচন্দ্র কিরূপ একাগ্ৰ সাধনার প্রভাবে বঙ্গসাহিত্যের খাতে পুণ্যতোয় তরঙ্গমালিনী জাহ্নবী বাহাইয়াছিলেন, তাহাব ইতিহাস সাধারণের অগোচর। এজন্য তঁহাকে কিরূপ কঠোর তপস্যা করিতে হইযাছিল, তাহান্ন কোন সন্ধান বাঙ্গালী এ পৰ্য্যন্ত পায় নাই। যদি তঁহার লিখিত আত্মচল্পিত প্ৰকাশিত হইত, তবে বাঙ্গালী পাঠক তাহ পাঠে কৌতুহল
