পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্ৰ চট্টোপাধ্যায়। t চরিতার্থ করিতে পারিতেন। কিন্তু এখন পৰ্য্যন্ত সে গ্ৰন্থ প্ৰকাশিত না। ह७यांश कश् अनिबद्ध cकांभs e*ांग्र नाई। বঙ্কিমচন্দ্ৰেয় দেশাত্মবোধ কত গভীর ও দূরব্যাপী ছিল, তাহা তাহার রচনায় পরিস্ফুট । বাঙ্গালীর দুর্বলতা কোথায়, বাঙ্গালীর সাধনা কোন প্রলোভনে ব্যর্থ হইয়া যায়, বঙ্কিমচন্দ্রের মত এ পৰ্য্যন্ত আর কেহ তেমন সম্পূর্ণরূপে ব্যাখ্যা করিয়া দেখাইতে পারেন নাই। বাঙ্গালাদেশকে তিনি প্ৰাণ ভরিয়া ভালবাসিতেন, শ্রদ্ধা করিতেন, পূজার অর্ঘ্য দান করিতেন, বাঙ্গালীও তাহার পরম গ্ৰীতির পাত্র ছিল। তিনি খাটি স্বদেশভক্ত ও স্বজাতিবৎসল মহাপুৰুষ ছিলেন। বাঙ্গালীর কলঙ্কক্ষালনের জন্য তিনি ইতিহাস ঘাঁটিয়৷ বহু প্ৰমাণ সংগ্ৰহ করিয়া গিয়াছেন ; ইতিহাস রচনার স্পৃহা বাঙ্গালীর হৃদয়ে জাগাইয়া কি করিয়া ইতিহাস বচনা করিতে হইবে, তাহার পন্থা পৰ্য্যন্তু নির্দেশ করিয়া গিয়াছেন। যুক্তকণ্ঠে তিনিই সীতারামে ঘোষণা কবিয়াছিলেন, “হিন্দুকে হিন্দু না বাখিলে অমাব কে রাখিবে ?” ১৮৯২ খৃষ্টাব্দে বঙ্কিমচন্দ্ৰ গবৰ্ণমেণ্টের নিকট হইতে রায় বাহাদুর উপাধি পাইয়াছিলেন। ১৮৯৪ খৃষ্টাব্দে নববর্ষের উৎসব উপলক্ষে তিনি সি, আই, ই উপাধি ভূষণে মণ্ডিত হন। কিন্তু বঙ্কিমচন্দ্র এ উপাধিলাভে আপনাকে ধন্য মনে করেন নাই । বহুমূত্র রোগ ১৩০০ সালের শীতের সময় সহসা এমন প্রবল হইয়া উঠিল যে, বঙ্কিমচন্দ্ৰকে শয্যা গ্ৰহণ করিতে হইল। চিকিৎসা চলিতে লাগিল, কিন্তু রোগের উপশম হইল না। রোগ বৃদ্ধি পাইয়া। ২৬শে চৈত্র অপরাত্নকালে বঙ্গ-জননীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান, সাহিত্য-সম্রাট