পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| Rev. ভারত-প্ৰতিভা লোক উহা ক্রয় করিত। ফেরিওয়ালারা পথের মোড়ে মোড়ে কাগজ • লইয়া যখন উহার দুই চারিটি কবিতার অংশমাত্র আবৃত্তি করিত, আমনই বহুসংখ্যক কাগজ বিক্রয় হইয়া যাইত। ঈশ্বরচন্দ্রের কবি-প্ৰতিভা ক্ৰমে সমগ্র বাঙ্গালাদেশে ছড়াইয়া পড়িল। ঈশ্বরচন্দ্রের অনুকরণে অনেকেই কবিতা রচনা আরম্ভ করিয়া দিলেন। সে সময়টিকে ঠিক ঈশ্বরচন্দ্রী যুগ বলা যাইতে পারে। যিনি লেখনী ধারণ করিতেন, জ্ঞাতসারেই হউক। অথবা অজ্ঞাতসারেই হউক, তাহার রচনায় ঈশ্বর গুপ্তের প্রভাব অনুভূত হইত। অচিরকালমধ্যেই চারিদিকে ঈশ্বরচন্দ্রের শিষ্যসংখ্যা বাড়িতে লাগিল । তাহার শিষ্যবর্গের মধ্যে বঙ্কিমচন্দ্ৰ চট্টোপাধ্যায়, দ্বারকানাথ অধি কারী, দীনবন্ধু মিত্ৰ, হরিমোহন সেন, রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, মনোমোহন বক্স, ভুবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায় প্রভৃতি উত্তরকালে সমধিক প্ৰসিদ্ধি লাভ করিয়াছিলেন। বঙ্কিমচন্দ্র ও রঙ্গলাল কবিতায় গুরুর রচনা হইতে অনেকটা আত্মরক্ষা করিতে পারিয়াছিলেন । রঙ্গলালের কবিতার অনেক স্থলেই মৌলিকতা দেখিতে পাওয়া যায়। পণ্ডিতবর। ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর মহাশয় যখন বিধবাবিবাহের বৈধতা প্ৰতিপন্ন করিবার জন্য , পুস্তিকাদি প্রচার করেন, সেই সময়ে ঈশ্বর গুপ্ত তাহার প্রতিবাদস্বরূপ ব্যঙ্গকবিতানিচয় “প্রভাকরে” মুদ্রিত করিয়াছিলেন। যাহারা বিধবাবিবাহের বিরোধী ছিলেন, তাহারা ঈশ্বর গুপ্তের সে রসরচনা পড়িয়া অত্যন্ত আনন্দ অনুভব করিতেন । ১২৫৩ সালে ঈশ্বরচন্দ্র “পাষণ্ড-পীড়ন” নামে আর একখানি সংবাদপত্র বাহির করেন। এই সময়ে “ভাস্কর” পত্রের সম্পাদক গৌরীশঙ্কর তর্কবাগীশ-ইহার ডাক নাম গুড়গুড়ে ভট্টাচাৰ্য্য-“রসরাজ” নামক আর