পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ቅ፱”8 ' ভারত-প্ৰতিভা উচ্ছঙ্খল, বাণীর বরপুত্ৰ মধুসুদন বৰ্দ্ধিত হইতে লাগিলেন। তখন তাহার বয়স দ্বাদশ কি ত্রয়োদশ বৎসর হইবে। ক্লাসের ছাত্রবৃন্দের মধ্যে মধুসুদন উৎকৃষ্ট ছাত্র ছিলেন। অষ্টম শ্রেণীতে উন্নীত হইবার পর ভূদেববাবুর সহিত র্তাহার প্রথম পরিচয় হয়। উভয়েই এক শ্রেণীতে অধ্যয়ন করিতে থাকেন। সাহিত্য ও ইতিহাসে মধুসুদন অগ্রগণ্য ছিলেন ; কিন্তু অঙ্কশাস্ত্ৰে তাহার সবিশেষ অনুরাগ ছিল না। মধুসুদন ভূদেববাবুর অন্তরঙ্গ বন্ধু ছিলেন। তিনি প্রায়ই ভূদেববাবুর বাড়ী গিয়া সেখানে আহারাদি করিতেন। অধ্যয়নে প্ৰবল স্পৃহা ও জ্ঞানতৃষ্ণাবশতঃ মধুসুদন সতীর্থগণের অপেক্ষা সাহিত্যে অনেক অগ্রসর হইয়া গেলেন। পঞ্চম শ্রেণী হইতে ভূদেব, গীেরদাস বসাক, শ্যামাচরণ লাহা, বন্ধুবিহারী দত্ত ও মধুসূদন একেবারে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত হন। এই কয়টি ছাত্রের প্রতিভায় প্রকৃতপক্ষে তখন সকলেই চমৎকৃত হইয়াছিলেন। ক্লাসে ভূদেব ও মধুসুদন পাশাপাশি বসিতেন। অঙ্কশাস্ত্ৰ মধুসূদনের নিকট বিষবৎ। তিক্ত বোধ হইত। গণিতশাস্ত্ৰ শিক্ষার সময় তিনি ক্লাসে বসিয়া ইংরাজী কবিতাপুস্তক পাঠ করিতেন, অথবা কবিতা-রচনায় ব্যাপৃত থাকিতেন। ভূদেব, বন্ধুর অঙ্কশাস্ত্রের প্রতি অবহেলা দেখিয়া প্রায়ই র্তাহাকে উহা শিখিবার জন্য উৎসাহিত করিতেন। একদিন তিনি বলেন, “নিউটন ইচ্ছা করিলে সেক্সপীয়র হইতে পারিতেন; কিন্তু সেক্সপীয়র ইচ্ছা করিলে নিউটন হইতে পারিতেন না।” সেক্সপীয়রের নিন্দায় মধুসূদনের চিত্তে অত্যন্ত আঘাত লাগিয়াছিল। তিনি মনে মনে প্ৰতিজ্ঞা করিলেন, সেক্সপীয়রকে এই অপমান হইতে রক্ষা