পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাইকেল মধুসূদন 两西比 Rivt করিবেন। তিনি গোপনে অঙ্কশাস্ত্ৰ অধ্যয়নে মনোযোগী হইলেন। একদিন ক্লাসে অধ্যাপক রিজ সাহেব একটি দুরূহ অন্ধ দিলেন। ক্লাসের cकांन७ शखरे, धन कि, ভূদেব পৰ্য্যন্ত উহা কষিতে পারিলেন না। মধুসুদন তখন শিক্ষকের অনুমতি লইয়া বোর্ডে গিয়া অবলীলাক্রমে, সহজ পদ্ধতিতে অঙ্কট কাসিয়া দিলেন। অধ্যাপক পৰ্য্যন্ত র্তাহার প্রতিভায় মুগ্ধ হইয়া গেলেন। মধুসুদন বন্ধুবরকে অন্যের অশ্রাব্যস্বরে তখন বলিলেন, “কেমন, সেক্সপীয়র ইচ্ছা করিলে নিউটন হইতে পারিতেন কি না দেখিলে। ! কিন্তু গণিতশাস্ত্রের সঙ্গে এই আমার শেষ সম্বন্ধ।” আপনার শক্তিসম্বন্ধে মধুসূদনের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল। তিনি সতীর্থগণকে প্রায়ই বলিতেন, “আমি পৃথিবীর মধ্যে শ্ৰেষ্ঠ কবি হইব। তোমরা আমার জীবন-চরিত লিখিও * অহঙ্কারবশতঃ তিনি এ কথা বিলিতেন না । তঁহার ভিতরে প্রতিভার একটা বিরাটশক্তি প্ৰচ্ছন্ন ছিল। তিনি সে শক্তির সন্ধান পাইয়াছিলেন। তাই সরল বিশ্বাসে বন্ধুজনের নিকট সে কথা প্ৰকাশ করিতেন। ভূদেব একখানি পত্রে পরে লিখিয়াছিলেন, “কৰ্ম্মক্ষেত্রে অবতরণ করিয়া ক্ৰমে ক্ৰমে অনুন বিশলক্ষ ছাত্রের সংস্রবে। আসিতে হইয়াছিল; কিন্তু মধুর ন্যায় প্ৰতিভা আমি আর কাহাতেও কখনও দেখিতে পাই নাই।” মধুসুদন ছাত্রাবস্থাতেই কবিতা লিখিতে আরম্ভ করেন। তখন মাসিক অথবা সাপ্তাহিক সংবাদপত্রের বাহুল্য ছিল না। মধুসূদন হস্তলিখিত একখানি পত্রিকার প্রচার করিয়া তাহাতে কবিতা লিখিতেন। সেই সময় হিন্দুকলেজের জনৈক শিক্ষক রামচন্দ্ৰ মিত্র “জ্ঞানান্বেষণ” নামক একখানি কাগজ • বাহির করেন। মধুসূদনের হস্তলিখিত