পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ab心 ভারত-প্ৰতিভা । পত্রিকায় তাহান্ন প্ৰবন্ধ ও কবিতা প্রভৃতি পাঠ করিয়া তিনি এমন মুগ্ধ হন যে, উহা হইতে কতকগুলি কবিতা বাছিয়া লইয়া “জ্ঞানান্বেষণে* ছাপিতে আরম্ভ করেন। মধুসুদন ইহাতে উৎসাহ পাইয়া দ্বিগুণ। অধ্যবসায় সহকারে কবিতা” রচনায় ও কাব্যগ্ৰন্থ পাঠে মন দিলেন। হিন্দুকলেজে ইংরাজী শিক্ষার প্রভাবে তদানীন্তন ছাত্রবর্গের মধ্যে স্বধৰ্ম্মে অনুরাগ অত্যন্ত শিথিল হইয়া পড়িয়াছিল। মধুসুদন বাল্যকাল হইতে স্বাধীন-প্ৰকৃতি, উচ্ছঙ্খলচিত্ত ও ঘোর বিলাসী ছিলেন ; তদুপরি পিতামাতার আদরের দুলাল বলিয়া ব্যয়ের জন্য যথেচ্ছ অর্থও পাইতেন । ইহাতে র্তাহার বিলাসিতার মাত্রা বাড়িয়া গিয়াছিল। সুরাপান প্ৰভৃতি নানাপ্রকার অসমসাহসিক পাপকাৰ্য্যেও তিনি লিপ্ত হইতেন। ধূলিমুষ্টির ন্যায় তিনি অর্থব্যয় করিতেন। সুরাপান করাটা সভ্যতার পরিচায়ক, ইহা মধুসূদনের চিত্তে দৃঢ়ছােপ অঙ্কিত করিয়া দিয়াছিল। সাহেব সাজিবার দিকে তঁহার মনের ভাবও খুব প্ৰবল झूहेशांछिल । পুত্ৰ যে যথেচ্ছাচারের মাত্রা বাড়াইয়া চলিয়াছে, ইহা পিতামাতা দেখিস্নাও দেখিতেন না ; বরং অপরিমিত অর্থ যোগাইয়া তাহাকে এ বিষয়ে প্ৰকারান্তয়ে উৎসাহই দিতেন। তঁহার পুত্রের পাঠে অসাধারণ মনোযোগ ও পরীক্ষায় কৃতিত্ব দেখিয়া ভাবিয়াছিলেন, মধুসুধন কালে অসাধারণ প্ৰতিভাবলে দেশের মধ্যে গণনীয় ব্যক্তি হইবেন। সেজন্য তাহারা পুত্রের কোনও ইচ্ছা অপূর্ণ রাখিতেন না। প্রতিভার শক্তি গতানুগতিকের পথে চলে না। মধুসূদনের প্রতিভা এজন্য তাঁহাকে অস্থির করিয়া তুলিয়াছিল। দশজনে যাহা করিতেছে,