হেমচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায় । vbet. “মপুণভাবে ষোকদ্দমার সম্বন্ধে নিজের মন্তব্য বিচারকের নিকট উপস্থাপিত করেন যে, তাহাতেই মোকদ্দমায় তিনি জয়লাভ করেন। এই ঘটনা ক্লাইতেই হাইকোটে হেমচন্দ্রের পসার-প্রতিপত্তি বাড়িতে আরম্ভ করে । দ্বারকানাথ মিত্র তখনও হাইকোর্টের জজ হন নাই। সে সময়ে হেমচন্দ্ৰই হাইকোটের সর্বশ্রেষ্ঠ উকীল। হেমচন্দ্ৰকে দ্বারকানাথ অত্যন্ত ভালবাসিতেন। দ্বারকানাথের সহায়তায় হেমচন্দ্ৰ প্ৰতিভাবলে হাইকোটে এমনই প্ৰতিষ্ঠালাভ করিলেন যে, ১৮৬৪ খৃষ্টাব্দে তঁহার মাসিক দুই সহস্ৰ মুদ্রা উপাৰ্জন হইতে লাগিল। হেমচন্দ্ৰ লক্ষ্মী ও সরস্বতী উভয়েরই স্নেহ দৃষ্টি লাভ করিয়া ধন্য হইয়াছিলেন। তঁহার বন্ধু-বান্ধব তোহার wগত উন্নতি দর্শনে বিস্মিত ও পুলকিত হইলেন। এই উন্নতির সময় হেমচন্দ্রের পিতৃ-বিয়োগ ঘটে । হেমচন্দ্ৰ অত্যন্ত পিতভক্ত ছিলেন। পিতার বিয়োগে তিনি অত্যন্ত অধীর হইয়া পড়িলেন এবং কিছুদিন ধরিয়া নানা তীৰ্থ পরিভ্রমণ করিতে লাগিলেন। গয়ায় গিয়া পিতৃদেবের শ্ৰাদ্ধাদি করিয়া তিনি দেশে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করিলেন। কেশবচন্দ্ৰ সেন তখন ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম আলোচনার দ্বারা শিক্ষিত দেশবাসীকে প্রবুদ্ধ করিতে ব্যস্ত। হেমচন্দ্রের পিতৃশ্ৰাদ্ধাদি তাহার নিকট কুসংস্কার বলিয়া অনুমিত হইয়াছিল। উচ্চ-শিক্ষিত হেমচন্দ্ৰকে এরূপ * কুসংস্কারের” পক্ষপাতী হইতে দেখিয়া ব্ৰহ্মানন্দ কেশবচন্দ্ৰ প্ৰকাশ্যভাৰে অসন্তোষ প্ৰকাশ করিতে লাগিলেন। স্বাধীনচেতা, স্বদেশভক্ত, স্বধৰ্ম্মনিষ্ঠ হেমচন্দ্র তাহার এই প্রকাশ্য অসন্তোষের প্রতিবাদে কৃতসংকল্প হইয়া Brahmis Theism in India**** q*ío (2<e है९ब्रांडी छायांश সূচনা করেন। পুস্তিকাখানি ১৮৬৯ খৃষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়। R O
