পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩০৬ ' ভারত-প্ৰতিভা । ভূদেববাবু যখন “এডুকেশন গেজেটের" সম্পাদক, সেই সমস্ক হেমচন্দ্রের অমৃত-নিস্তান্দিনী কবিতারাজি উক্ত সংবাদপত্রে প্রকাশিত হইত। হেমচন্দ্র ভূদেববাবুর বিশেষ ভক্ত ছিলেন। হেমচন্দ্রের সর্বোৎকৃষ্ট কবিতা “ভারত-বিলাপ” ও “ভারত-সঙ্গীত” ১২৭৭ সালে উক্ত পত্রে প্ৰকাশিত হইয়াছিল। “ভারত-সঙ্গীত” প্ৰকাশিত হইলে সমগ্ৰ বঙ্গদেশে একটা তুমুল আন্দোলন উপস্থিত হইয়াছিল। গবৰ্ণমেণ্ট পৰ্য্যন্ত ভূদেববাবুর কৈফিয়ৎ তলব করিয়াছিলেন। ভূদেববাবু উহার সন্তোষজনক কৈফিয়ৎ দিলে সরকার বাহাদুর কবিতাটির সম্বন্ধে আর উচ্চবাচ্য করেন। নাই। এই একটি কবিতা রচনা করিয়াই হেমচন্দ্র দেশের মৰ্ম্মস্থল পৰ্য্যন্ত আলোড়িত করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। ওকালতীতে হেমচন্দ্রের এমনই প্ৰতিষ্ঠা হইয়াছিল যে, সরকারী উকীল অন্নদাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় কৰ্ম্মক্ষেত্ৰ হইতে অবসর গ্ৰহণ করায় লব্ধ প্রতিষ্ঠ ব্যবহারাজীব, সুকবি হেমচন্দ্র তাহার স্থানে সরকারী সিনিয়র প্লীডারের পদে মনোনীত হন। সাহিত্যক্ষেত্রেও তখন হেমচন্দ্ৰ পূর্ণ শশধর । ইংরাজী ১৮৭২ খৃষ্টাব্দে সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র “বঙ্গদর্শন” মাসিক পত্রের প্রতিষ্ঠা করেন। কবিবর হেমচন্দ্র প্রথমাবধিই “বঙ্গদর্শনের” লেখক ছিলেন । “বঙ্গদর্শন” চারি বৎসর কাল নিয়মিতভাবে প্ৰকাশিত হইয়াছিল। ইহাতে হেমচন্দ্রের সর্বসমেত একাদশটি কবিতা ও একটি প্ৰবন্ধ প্ৰকাশিত হয়। বন্ধুবর্গের অনুরোধে হেমচন্দ্ৰ সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রে প্রকাশিত কবিতাবলী সংগ্ৰহ পূর্বক “কবিতাবলী”। প্রথম ভাগ ১৮৭০ খৃষ্টাব্দে