পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wooyo, ভারত-প্ৰতিভা কৱিতেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে গোপনে দানই তাহার স্বভাবসিদ্ধ ছিল। DBBD BEBEDBBDBDBDBD DBDBB DBDD BDBD SSDBDDDDBB তিনি অযাচিতভাবে কত সময় নানা প্রকারে অর্থসাহায্য করিতেন । সমাজের সর্বত্রই হেমচন্দ্রের অসামান্ত প্ৰতিপত্তি জন্মিয়াছিল। সে সময় কবির গানের বাহুল্য ছিল। কবির গান উপলক্ষে উভয় পক্ষে কবিতার লড়াই চলিত । হেমচন্দ্ৰ সেরূপ ক্ষেত্রে উপস্থিত থাকিলে প্রায়ই অনুরূদ্ধ হইয়া বিচারকের আসন গ্ৰহণ করিতেন। তিনি বিচার করিয়া যে পক্ষকে শ্রেষ্ঠ বলিয়া ঘোষণা করিতেন, সেই পক্ষই জয় লাভ কিরিত ; তজ্জন্য পরাজিত পক্ষ কখনও ক্ষোভ প্ৰকাশ করিতেন না। সারদার ধ্যানে তন্ময় হেমচন্দ্ৰ ক্ৰমে ক্ৰমে “আশাকানন,” “ছায়াময়ী,” “দশমহাবিদ্যা,” প্ৰভৃতি গ্ৰন্থ রচনা করিয়া বাঙ্গালার কাব্যকুঞ্জকে রমণীয় করিয়া তুলিতে লাগিলেন। মহাকাব্য রচনা করিবার জন্য হেমচন্দ্রের হৃদয়ে একটা প্ৰবল আগ্রহ ছিল। “মেঘনাদ-বন্ধের” টীকা রচনা করিবার সময় হইতেই হেমচন্দ্রের হৃদয়ে এইরূপ একখানি মহাকাব্য লিখিবার বাসনা জন্মিয়াছিল। মহাভারতে “বৃত্ৰসংহার” বৃত্তান্ত অতি সজেক্ষপেই বর্ণিত আছে। হেমচন্দ্ৰ সেই বৃত্তান্ত অবলম্বন করিয়া “বৃত্ৰসংহার' রূপ অপূৰ্ব্ব মহাকাব্য রচনা করেন। এই অমরকাব্যে পৌরাণিক বৃত্তান্তকে তিনি সম্পূর্ণভাবে গ্ৰহণ ৷ না করিয়া বহু স্থলে মৌলিক কল্পনার পরিচয় দিয়াছেন। এই মহাকাব্য ১২৮১ সালে প্রকাশিত হয়। সুধী সমালোচকগণ “বৃত্ৰসংহারকে” মেঘনাদ-বিধের” কাৰ্য হইতেও উচ্চ আসন প্ৰদান করেন। প্রকৃতপক্ষে এই উপাদেয় মহাকাব্যখানি বাঙ্গালা সাহিত্যের অতুল্য সম্পদ।