পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'088 ভারত-প্ৰতিভা “বৃটিশ ইণ্ডিয়ান এসোসিয়েসন” সভা স্থাপনে প্ৰসন্নকুমারও যথেষ্ট সাহায্য করিয়াছিলেন। রাজা স্তর রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের পর প্ৰসন্নকুমারই উক্ত সভায় সভাপতিপদে প্রতিষ্ঠিত হন। তিনি যোগ্যতার সহিত সভাপতির কৰ্ত্তব্য পালন করিতেন । প্ৰসন্নকুমার পাকা জমীদার ছিলেন। জমীদারীকাৰ্য্যে তঁহার পর্য্যাপ্ত অভিজ্ঞতা জন্মিয়াছিল। আইনেও তঁহার অসাধারণ অধিকার জন্মিয়াছিল। প্ৰসন্নকুমার ইংরাজী সাহিত্যের ন্যায় সংস্কৃতভাষারও বিশেষ অনুরাগী ছিলেন। তিনি একটি বিরাট পুস্তকাগার প্রতিষ্ঠা করেন। এই পুস্তকাগারে সাহিত্য ও আইনবিষয়ক বহু মূল্যবান গ্রন্থ বিরাজিত । গ্রন্থাদি পাঠ করিবার জন্য হাইকোর্টের তদানীন্তন বিচারপতিরাও এই পুস্তকাগায়ে আসিতেন । কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হইলে, প্ৰসন্নকুমার উহার অন্যতম ‘ফেলো’ বা সদস্ত নিৰ্বাচিত হন। হিন্দুর মৃতদেহ কলে ভস্মীভূত করিাবার জন্য একবার আন্দোলন হয়। প্ৰসন্নকুমার এই ব্যবস্থার প্রতিকূলে দাড়াইয়া বিশেষ চেষ্টা করিয়াছিলেন। প্ৰধানতঃ তাহারই চেষ্টায় এই ব্যবস্থা রহিত হয় ; উহা আর কাৰ্য্যে পরিণত হইতে পারে নাই । প্ৰসন্নকুমার প্রথমতঃ সমাজ-সংস্কারের পক্ষপাতী ছিলেন । যে সকল প্ৰথা সমাজের অনিষ্টবিধান করে, তাহার উচ্ছেদে যত্নবান ছিলেন ; কিন্তু তদীয় একমাত্র পুত্ৰ জ্ঞানেন্দ্রমোহন স্বধৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়া খৃষ্টান হইয়া গেলে, তিনি প্ৰাচীন সমাজের প্রতি শ্রদ্ধাবান হন । প্ৰসন্নকুমার পুরাতন হিন্দু কলেজের অন্যতম তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। মেয়ো হাসপাতালের পরিদর্শনের ভার তঁহার উপর ছিল। দেশের যাবতীয়