পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अनझदूभांब ठेकूद्ध । \)3 মঙ্গলানুষ্ঠানে প্ৰসন্নকুমার লিপ্ত থাকিতেন। স্বদেশের ও স্বদেশবাসীর যাহাতে উন্নতি হয়, এ বিষয়ে তাহার বিশেষ যত্ন ছিল। সমগ্র জীবন ধরিয়া তিনি স্বদেশের মঙ্গলানুষ্ঠান করিয়াছিলেন । বদ্যান্য জমীদার বলিয়া প্ৰসন্নকুমারের যথেষ্ট খ্যাতি ছিল । দরিদ্র। প্ৰজাবৰ্গকে তিনি নানা উপায়ে সাহায্য করিতেন। মূলাজোড়ে সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠা করিয়া বহুসংখ্যক ছাত্রের জন্য তিনি বৃত্তি নিৰ্দ্ধারিত করিয়া দেন । শিক্ষিত-সম্প্রদায় যাহাতে হিন্দু ব্যবহারশাস্ত্রে অভিজ্ঞ হন এবং অনুরাগ ও উৎসাহ সহকারে হিন্দুশাস্ত্ৰ গ্ৰন্থাদি পাঠ করেন, এজন্য তিনি মন্বাদিস্মৃতি-গ্রন্থের অনুবাদ প্রচার করিয়া বিনামূল্যে বিতরণ করিয়াছিলেন। প্ৰসন্নকুমার একবার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভ্ৰমণ করিতে গিয়াছিলেন । ভ্ৰমণব্যাপদেশে তিনি ভূস্বৰ্গ কাশ্মীরেও গমন করেন। তদানীন্তন কাশ্মীরমহারাজ গোলাপসিংহ প্ৰসন্নকুমারকে সমাদরে অভ্যর্থনা করিয়াছিলেন । স্বকীয় বিস্তৃত জমীদারীর মধ্যে প্ৰসন্নকুমার অনেকগুলি দাতব্য চিকিৎসালয়ের প্রতিষ্ঠা করেন। প্রজাবর্গের কল্যাণচিন্তা নিয়তই তাহাঁর মনে জাগ্ৰত ছিল এবং সততই তিনি তাহদের হিতার্থ নানাপ্রকার অনুষ্ঠান করিতেন । তঁহার ভবনে প্ৰত্যহ শতাধিক দরিদ্র ও বিদ্যালয়ের ছাত্র আহার প্রাপ্ত হইত। মুঙ্গেরের অন্তর্গত পীরপাহাড়ের উপর প্রসন্নকুমার একটি সুদৃশ্য মনোরম অট্টালিকা নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন। মুঙ্গেরের জলবায়ু স্বাস্থ্যের অনুকূল এবং উক্ত অঞ্চলে অনেক বিষয়-সম্পত্তি থাকার জন্যই তিনি উক্ত অট্টালিকাটি কোনও ইংরাজের নিকট হইতে ক্রয় করিয়া লন । তৎপরে উহাকে নিজের বাসোপযোগী করিয়া লইতে র্তাহার প্রভূত অর্থব্যয়