পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-প্রতিভা পিতৃঋণ-শোধের জন্য আইনের অপেক্ষা না করিয়া আমার সমস্ত সম্পত্তিই আমি দিতে প্ৰস্তুত। অযাচিতভাবে আশাতীত সম্পত্তি পাইয়া পাওনাদারের বিস্মিত ও স্তম্ভিত হইল ; কেহ কেহ এই জলন্ত ত্যাগের দৃষ্টান্ত দেখিয়া কঁাদিয়া ফেলিল। পাওনাদারের সন্তুষ্ট হইয়া সম্পত্তির আয় হইতে তাঁহাদের নিজব্যয়ের জন্য বাৰ্ষিক ২৫ হাজার টাকা দিতে স্বীকৃত হইলেন। বিষয়াসক্তিহীন দেবেন্দ্ৰনাথ আত্মজীবনীতে লিখিয়াছেন—“আমি যা চাই, তাহাই হইল। বিষয়সম্পত্তি সকলই হাত হইতে চলিয়া গেল । যেমন আমার মনে বিষয়ের অভিলাষ। নাই, তেমনি বিষয়ও নাই, বেশ মিলে গেল। * * হে ঈশ্বর, আমি তোমা ছাড়া আর কিছুই চাই না। & * চাকরের ভিড় কমাইয়া দিলাম, গাড়ী-ঘোড়া নীলামে দিলাম। খাওয়া-পরা পরিমিত করিলাম, ঘরে থাকিয়া সন্ন্যাসী হইলাম। একেবারে নিষ্কাম হইলাম। হে ঈশ্বর, অতুল ঐশ্বৰ্য্যের মধ্যে তোমাকে না পাইয়া প্রাণ ওষ্ঠাগত হইয়াছিল-এখন তোমাকে পাইয়া আমি সব পাইয়াছি।” পৈতৃক সম্পত্তি উত্তমর্শদিগের হস্তে ন্যস্ত করিয়া ভোগলালসা হইতে মুক্ত হইয়া সর্বম্বে নির্লিপ্ত মহর্ষি অবিচলিতচিত্তে প্ৰত্যহ রাত্রি দুইটা পৰ্য্যন্ত একাগ্ৰচিত্তে ধৰ্ম্মালোচনায় তন্ময় হইয়া থাকিতেন। এই সময় তিনি “যোগসাধন নিরত মহর্ষি’ নামে অভিহিত ও সাধারণে সমাদৃত ও ভক্তিভাজন হইলেন । তিন চার মাস পরে দেনা-পরিশোধের সুব্যবস্থা হইতেছে না দেখিয়া মধ্যম ভ্রাতার প্রস্তাবে দেবেন্দ্রনাথ পাওনাদারগণের নিকট হইতে কাৰ্য্যভার গ্ৰহণ করিলেন। বাড়ীতে আফিস উঠাইয়া আনিয়া কঠোর শ্রম ও একান্ত অধ্যবসায়ের সহিত কাৰ্য্যে প্ৰবৃত্ত হইলেন। এই সময় তিনি এত