পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর । , NA \ প্রথমবার বিলাত হইতে ফিরিয়া প্ৰিন্স দ্বারকানাথ উইল করিয়া সমস্ত সম্পত্তি দেবেন্দ্রনাথ, গিরীন্দ্ৰনাথ ও নগেন্দ্ৰনাথ তিন পুত্ৰকে সমভাগে প্ৰদান করেন। “কার ঠাকুর কোম্পানী” নামে প্ৰসিদ্ধ করাবারের অৰ্দ্ধ অংশ দ্বারকানাথের ও অপরাদ্ধ কয়েক জন ইংরাজ অংশীদারের ছিল । দ্বারকানাথ এই কারবারের অৰ্দ্ধাংশ দেবেন্দ্রনাথকে প্রদান করেন। সাধু দেবেন্দ্রনাথ আপনার অৰ্দ্ধাংশ ভ্রাতৃদ্বয়কে সমভাগে প্ৰদান করিয়া সম্পত্তি ও ব্যবসায়ের পরিদর্শনের ভার গিরীন্দ্ৰনাথের উপর দিয়া কাশীধামে গমন করেন । কাশীধাম হইতে ফিরিয়া দেবেন্দ্ৰনাথ দেখিলেন-তাক্তাদের হাউস—“কার ঠাকুর কোম্পানী”র অবস্থা শোচনীয় ; নিয়মিতভাবে হুণ্ডি পরিশোধ হইতেছে না ; এক দিন ত্ৰিশ হাজার টাকার হুণ্ডির টাকা দিতে না পারিয়া কোম্পানীর সন্ত্রম গেল ; আফিস দেউলিয়া হইল। দেবেন্দ্রনাথ হিসাব করাইয়া দেখিলেন, হাউসের দেন ১ কোটী টাকা, পাওনা ৭০ লক্ষ টাকা । সাধু দেবেন্দ্রনাথ বিব্রত হইলেন ; পিতৃঋণ পরিশোধ করিবার জন্য নিঃসম্বল-পথের ভিখারী হইতেও প্ৰস্তুত হইলেন। সূক্ষ্মবুদ্ধি দ্বারকানাথ একখানি "ট্রষ্টভীড’ সম্পাদন করিয়া কতকগুলি সম্পত্তি স্বতন্ত্র করিয়াছিলেন ; পুত্ৰগণ তাহার উপস্বত্ব ভোগ করিবেন, কিন্তু পাওনাদারেরা উহাতে হস্তক্ষেপ করিতে পরিবেন না, এইরূপ ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। দেবেন্দ্রনাথের পরামর্শমত হাউসের কৰ্ম্মকর্তা গর্ডন সাহেব পাওনাদারগণকে আহবান করিয়া হিসাব দেখাইয়া বলিলেন, হাউসের মালিকের সমস্ত সম্পত্তি দিয়াও ঋণ শোধ করিতে প্ৰস্তুতকেবল টুষ্ট সম্পত্তিতে কেহ হস্তক্ষেপ করিতে পারিবেন না। এই প্রস্তাবে পাওনাদারের অসন্তুষ্ট হইল দেখিয়া দেবেন্দ্রনাথ বলিলেন,