পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মানন্দ কেশবচন্দ্ৰ সেন । '8ዓ কৰ্ত্তব্য” বিষয়ে বক্তৃতায় ভারতে নীচশ্রেণীর ইংরাজগণের অত্যাচারের কথা বিবৃত করেন। “খুষ্ট ও খৃষ্ট-ধৰ্ম্ম” বক্তৃতায় খৃষ্টধৰ্ম্মের নিগুঢ় রহস্য সুপ্ৰকাশ করেন। রামমোহন ও সেক্সপীয়রের সমাধি-ভবন-দর্শনকালে তিনি চল্লিশ জন পাদ্রীর স্বাক্ষরিত খৃষ্টান হইবার জন্য অনুরোধপত্ৰ পান। উত্তরে তিনি বলেন, “আমি খৃষ্টান হইব না, কিন্তু ধীশুর প্ৰেম-ভক্তি-আত্মত্যাগ আমার প্রার্থনীয়।” ডেলী নিউস, গ্রাফিক, ইনকোয়ার প্রভৃতি প্ৰসিদ্ধ সংবাদপত্রে কেশবচন্দ্রের চিত্র, বক্তৃতামালা ও উচ্চ প্ৰশংসা প্ৰকাশিত হইয়াছিল। ১৩ই অগষ্ট ভারতেশ্বরী মহারাণী ভিক্টোরিয়ার নিমন্ত্রণে কেশবচন্দ্ৰ অসবোর্ণের রাজপ্রাসাদে গিয়া মহারাণী, রাজকুমার লিওপোল্ড ও রাজকুমারীর লুইসার দর্শন ও নমস্কারলাভে সম্মানিত হন। মহারাণী, রাজকুমার ও রাজকুমারী র্তাহার ছবি ও স্বাক্ষর.সাদরে গ্ৰহণ করেন। স্বহস্তে নাম লিখিয়া মহারাণী স্বামীর ও তঁহার দুইখানি সচিত্র বাধাই জীবনচরিত ও প্রতিকৃতি উপহার প্ৰদান করেন । অক্টোবর মাসে কেশবচন্দ্ৰ স্বদেশে প্ৰত্যাবৃত্ত হইয়া সর্বপ্রকার সংস্কারে ব্যাপৃত হইলেন। এক দিকে সাধনার দ্বারা ধৰ্ম্মের নব নব সত্যের আবিষ্কার, অন্য দিকে নানা সদনুষ্ঠানের আয়োজনে প্ৰাণপণ করিলেন। দেশের সাৰ্ব্বাঙ্গীন উন্নতির জন্য দৃঢ়প্ৰতিজ্ঞ হইয়া তিনি “ভারতসংস্কার’ সভা প্রতিষ্ঠিত করিলেন। ১৮৭১ খৃষ্টাব্দে এই সভার বিভিন্ন বিভাগ হইতে এক পয়সা মূল্যের “সুলভ সমাচার” নামক সাপ্তাহিক পত্রিকার প্রকাশ, দরিদ্রদিগের জন্য নৈশবিদ্যালয়-স্থাপন, “সুরাপান-নিবারণী সভা,”মহিলাগণের শিক্ষার জন্য বিদ্যালয়, অসহায় ছাত্ৰগণের সাহায্যের জন্য দাতব্য ভাণ্ডার স্থাপিত হইল। ভারতসংস্কারসভার শ্রমশিল্পশিক্ষা-বিভাগে সূত্রধরেরা কাৰ্য্য, সুচিকৰ্ম্ম, ঘড়ি