পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-প্ৰতিভা সম্প্রদায়ের সাদর আহবানে বিলাতে যাত্রা করেন। ইউটেরিয়ান সম্প্রদায় তঁহার বিলাতের ব্যয় বহন করিয়া, তঁহার পরিবারবর্গকে পাঁচ সহস্র মুদ্রা প্ৰদান করিয়াছিলেন। দেশমান্য রমেশচন্দ্ৰ দত্ত, সার কে, জি, গুপ্ত প্ৰভৃতি তঁহাকে সসন্মানে অভ্যর্থনা করেন। মহানুভব গ্ল্যাভূষ্টান, মোক্ষমূলর, জন ষ্টুয়ার্ট মিল প্রভৃতি সম্রােন্ত সুপণ্ডিত ও ধনকুবেরগণের সহিত সুপরিচিত সন্মানিত হইয়া, কেশবচন্দ্ৰ বক্তৃতার ভক্তি-মন্দাকিনীর প্রবল উচ্ছাসে ইংরাজ নরনারীগণকে সম্মোহিত করিয়া, শ্রদ্ধা-ভক্তির পুষ্পাঞ্জলি লাভ করেন। ধৰ্ম্ম-সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিগণ, লর্ড বাহাদুরগণ, সুপণ্ডিত দার্শনিক মনীষিগণ তঁহাকে একটি সভা করিয়া বিশেষভাবে অভ্যর্থনা করেন। ইংলণ্ডের মহিলাসমিতির সভাপতি হইয়া কেশবচন্দ্ৰ ভারতীয় আৰ্য-মহিলার গুণগাথা, মহিলাগণের শিক্ষাসংস্কারের কথার-আলোচনায় তঁহাদিগকে পুলকিত করিয়া ভারতের প্রতি তঁহাদের গভীর শ্রদ্ধা উদ্দীপিত করেন। কেশবচন্দ্ৰ ছয় মাস বিলাতে অবস্থান করিয়া সত্তরটি প্ৰকাশ্য সভায় প্ৰায় অৰ্দ্ধ লক্ষ শিক্ষিত ব্যক্তির সম্মুখে বক্তৃতা করিয়া সাফল্যলাভ করেন। ধৰ্ম্ম, বক্তৃতা ভিন্ন ভারতের মঙ্গলের জন্য তিনি নিৰ্ভীকচিত্তে রাজনীতিক বক্তৃতাও করিয়াছিলেন। এই সকল বক্তৃতার মধ্যে মাটিনোর ভজনালয়ে “ঈশ্বরের প্রাণের প্রাণ,” কনওয়ের গির্জায় “অপব্যয়ী পুত্র” স্থাকণী চার্চে “প্রার্থনা,” ইস্লিংটনে “ঈশ্বরের প্ৰেম,” একজেষ্টার হলে “সাধারণ শিক্ষা,” মদ্যপান ও যুদ্ধ নিবারণী সভা, দাতব্য সভা, শ্রমজীবি-সম্প্রদায়, অন্ধবিধির আশ্রমের অনেকগুলি বক্তৃতা উল্লেখযোগ্য। সুরাপান-নিবারণী সভায় তিনি বৃটিশরাজের মন্থ-ব্যবসার প্রতি তীব্র আক্রমণ করেন-ইংলণ্ডের দরিদ্র-সম্প্রদায়ের ভীষণ দুঃখের কথা আলোচনা করেন। স্পার্জনস্ টেবৰ্ণকেলে “ভারতের প্রতি ইংলেণ্ডের