পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R उद्वािङ-९2ङिङा রিভিউ” সাময়িকপত্ৰ প্ৰকাশ এবং ব্রহ্মবিদ্যালয় ও মহিলাগণের শিক্ষার জন্য ‘ভিক্টোরিয়া কলেজ’ স্থাপন করেন। ১৮৮৩, খৃষ্টাব্দে মাঘোৎসবের সময় টাউন হলে তিনি যেন ঐশী শক্তিবলে উদ্দীপিত হইয় “যুরোপের নিকট এশিয়ার নিবেদন” নামক প্রসিদ্ধ জ্ঞানভক্তিপূর্ণ বিশ্বজনীন সৌভ্রাতৃবন্ধনের পরিকল্পনাময় বক্তৃতা প্ৰদান করেন। অগ্নিস্ফুলিঙ্গের ন্যায় তাহার এক একটী বাক্যে সমবেত জনতরঙ্গ উদ্দীপিত-অনুপ্রাণিত হইয়াছিল। টাউনহলে ইহাই তাহার শেষ বক্তৃত । বক্তৃতা-বিশারদ কেশবচন্দ্রের অমৃতময়ী বক্তৃতার ঝঙ্কারে আর টাউনহল প্ৰকম্পিত হয় নাই, শ্রোতৃবৃন্দ আর পরিতৃপ্ত হইবার অবকাশ পান নাই। তাহার পর ভীষণ রোগের প্রকোপে তিনি হীনবল হইতে লাগিলেন,-চিকিৎসকগণের উপদেশে প্ৰত্যহ দুই ঘণ্টা তিনি সুত্রধরেরা কাৰ্য্য করিতেন। স্বাস্থ্যলাভের আশায় তিনি সিমলাশৈলে গিয়াও নিশ্চিন্ত ছিলেন না, তদাবস্থায় তথায় বসিয়া তিনি “নব-সংহিতা।” গ্ৰন্থখানির রচনা করেন, এবং আমেরিকার কোনও ভক্তের অনুরোধে “যোগ” প্ৰবন্ধ লিখিয়া পাঠান। অবশেষে উৎকট রোগের প্রকোপে কেশবচন্দ্ৰ সিমলা হইতে কলিকাতায় ফিরিয়া আসেন। ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার প্রভৃতি কৃতবিদ্য সুচিকিৎসকগণের চিকিৎসাতে কোনও সুফল ফলিল না। রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব, লর্ড বিশপ, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ প্রভৃতি প্রায়ই কেশবচন্দ্ৰকে দেখিতে আসিতেন। রোগযন্ত্রণায় অধীর হইয়াও কেশবচন্দ্ৰ ভক্তগণকে নববিষয়নের মন্দিরনিৰ্ম্মাণ সম্বন্ধে পরামর্শ দিতেন । ১৮৮৪ খৃষ্টাব্দের ৮ই জানুয়ারী, উৎকট বহুমূত্র রোগে, ৪৫ বৎসর বয়সে স্বনাম-ধন্য কৃতী মহাপুরুষ কেশবচন্দ্ৰ লীলা সংবরণ করিয়া দিবাধামে প্ৰস্থান করেন । ।