পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মানন্দ কেশবচন্দ্ৰ সেন । করিয়া প্রচার করেন। ত্ৰৈলোক্যনাথ বহু ব্ৰাহ্মসঙ্গীতের রচনা ও প্রচার করেন। কেশবচন্দ্ৰ হিন্দুশাস্ত্রের আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা করিয়া ব্ৰাহ্ম-ধৰ্ম্মমতের সহিত সামঞ্জস্য করিবার প্রয়াস পান। কেশবচন্দ্ৰ নববিধান-প্রচারের পর সৰ্ব্বধৰ্ম্মের, সৰ্ব্বশাস্ত্রের ও সৰ্ব্বসম্প্রদায়ের সাধুদিগের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধাভক্তি করিতেন। নববিধান-সমাজের প্রচারক সভার নাম ‘প্রেরিত দরবার” রাখেন, এবং প্রচারকগণের নামের পূৰ্ব্বে ভাই’ শব্দ ব্যবহার করেন। নববিধানের বার্ষিক উৎসবের সময় বেদ, বাইবেল, কোরণ, ললিতবিস্তার একত্র করিয়া তাহার উপর নববিধানের নিশান উড়াইয়া ধৰ্ম্মসমন্বয় ঘোষিত হইত। এই সময় তিনি “নব-বৃন্দাবন” নাটক রচনা করাইয়া সঙ্গী প্রচারকগণকে লইয়া অভিনয় করেন। পরে মস্তকামুণ্ডন করিয়া সোনার বালা ও নূপুর পরিক্সা ভাবাবেশে তন্ময় হইয়া মহাসঙ্কীৰ্ত্তন ও নৃত্য আরম্ভ করেন। প্রাচীন ব্রাহ্মসমাজ হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া কেশবচন্দ্ৰ আত্মপক্ষসমর্থনের জন্য টাউনহলে “আমি কি প্ৰত্যাদিষ্ট মহাপুরুষ নাহি ?” নামে এক সুদীর্ঘ ইংরাজা বক্তৃতা দেন। তঁহার অসামান্য বাগিতায় মুগ্ধ হইয়া প্রতিপক্ষদল কোন প্ৰকাশ্য সভায় তাহাকে অভিযুক্ত করেন নাই । ১৮৮১ খৃষ্টাব্দে কেশবচন্দ্র দুরারোগ্য বহুমূত্ররোগে আক্রান্ত হন। ইঙ্গার পর মাদ্রাজ, পঞ্জাব, বিহার, উড়িষ্যা ও বাঙ্গালার নানাস্থানে প্রচারকগণকে প্রচারার্থ পাঠাইয়া, পুত্রের উপর সংসারের ভার দিয়া, মস্তকমুণ্ডন ও গৈরিক ধারণ করিয়া ভিক্ষার ঝুলি গ্ৰহণ করেন ; “বিধান-ভারত” গ্রন্থ রচনা করেন। ১৮৮১ খৃষ্টাব্দে “নববিধান” নামক ইংরাজী সংবাদপত্র, “পরিচারিকা” ও “বালক-বন্ধু’ নামে মাসিকপত্র ‘থিয়িষ্টক কোয়াটারলি