পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

GV), ভারত-প্ৰতিভা কিশোরে বিজয়কৃষ্ণ বড় পরদুঃখকাতর ছিলেন-জমিদার শিষ্যের দরিদ্রপীড়ন দেখিয়া চীৎকার করিয়া কঁাদিয়া উঠিয়াছিলেন। । অল্পদিনে পাঠশালার শিক্ষা সমাপ্ত করিয়া বিজয়কৃষ্ণ শান্তিপুরে গোবিন্দ গোস্বামীর টােলে প্রবেশ করেন। পাঠশালায় ও টােলে তিনি সৰ্ব্বপ্রথম ছাত্র ছিলেন। স্বল্পদিনেই অসাধারণ মেধাশক্তির বলে মুগ্ধবােধ ব্যাকরণ আয়ত্ত করেন। উপনয়ন ও দীক্ষা-গ্রহণের পর তিনি হিন্দুধৰ্ম্ম অনুষ্ঠানে নিষ্ঠাবান হন, প্ৰত্যহ ভক্তিবিহবলচিত্তে সন্ধ্যা-অৰ্চনা করিতেন—আবশুকমত শিষ্যবাড়ী গিয়া মন্ত্র দিতেন। টােলে অধ্যয়নের সময় তিনি যৌবনে পদার্পণ করেন। তঁহার স্বভাবে যৌবন-চাপল্য প্ৰকটিত না হইয়া শিশুর সারল্য, পরোপকারস্পৃহা, সত্যানুরাগ বিকশিত হইয়াছিল। শান্তিপুরে মদ্যপান-দলন, অন্যায়-নিবারণ, চরিত্র-গঠন ও নৈতিক উন্নতির জন্য তিনি ও তঁাহার বাল্যবন্ধু সাধু অঘোরনাথ একটি যুবক-সমিতি সংগঠিত করেন। ১২৬৬ সালে, বিজয়কৃষ্ণ সহপাঠী অঘোরনাথের সহিত কলিকাতায় আসিয়া সংস্কৃত কলেজে প্রবিষ্ট হন । এই সময়ে নানা আন্দোলনের প্ৰবল তরঙ্গে কলিকাতা সংক্ষুব্ধ হইতেছিল। পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী লিখিয়াছেন :-“বিধবা-বিবাহের আন্দোলন, ইণ্ডিয়ান মিউটনী, নীলের হাঙ্গামা, হরিশের আবির্ভাব, সোম-প্ৰকাশের অভু্যুদয়, দেশীয় নাট্যশালার প্ৰতিষ্ঠা, ঈশ্বর গুপ্তের তিরোভাব, এবং মধুসূদনের আবির্ভাব, কেশবচন্দ্ৰ সেনের ব্রাহ্মসমাজে প্রবেশ ও ব্রাহ্মসমাজে। নবশক্তির সঞ্চার প্রভৃতি ঘটনা। বঙ্গ-সমাজকে প্রবল রূপে আন্দোলিত করিয়াছিল।” এই সকল আন্দোলনে স্বস্ত্ৰস্ত কলিকাতায় শিখা-সূত্ৰ-তিলক-চন্দন-মালাধারী শান্তিপুরের