পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

චීන ভারত-প্ৰতিভা ইহার পর তিনি বগুড়া হইয়া, শান্তিপুরে গিয়া, ‘জাতিভেদ মানিলে ঈশ্বরকে পিতা বলিয়া স্বীকার করা যায় না’, ব্যাখ্যাকালে কোনও বালকের কথায় বিচলিত হইয়া উপবীত পরিত্যাগ করেন। পরে মাতার কাতর অনুরোধে পুনরায় উপবীত গ্ৰহণ করেন। অতঃপর শিষ্যগণের বৃত্তিতে জীবিকা নির্বাহ করা তাহার পক্ষে সম্ভব হইবে না ভাবিয়া তিনি পারসেবায় ব্ৰতী হুইবার জন্য সংস্কৃত কলেজ ছাড়িয়া মেডিকেল কলেজের বাঙ্গালী বিভাগে প্রবিষ্ট হইলেন। এই সময় তিনি মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের সহিত সুপবিচিত হইয়া বন্ধু অঘোরনাথের সঙ্গে ১২৬৮ সালে তঁাহার নিকট ব্রাহ্মধৰ্ম্মে দীক্ষাগ্ৰহণ করিলেন। উপবীত-গ্ৰহণের জন্য র্তাহার মনে শান্তি ছিল না । তিনি লিখিয়াছেন,-“প্রতিদিন প্রার্থনার সময় আমার হৃদয় কম্পিত হইতে লাগিল। * ¥ উপবীত যেন কালভুজঙ্গের ন্যায় আমায় দংশন কবিতে লাগিল । উপবীত রাখা অসত্য ব্যবহার, অসত্য ব্যবহার করিলে ঈশ্বরদর্শন হইবে না, এই ভয়ে আমার প্রাণ অস্থির হইত।” তিনি মহৰ্ষিকে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলিলেন, “উপবীত রাখা নিতান্ত কৰ্ত্তব্য, উপবীত না রাখিলে সমাজের অনিষ্ট হয়। এই দেখ, আমি উপবীত রাখিয়াছি । * * মৎস্ত মাংস না খাইলে শরীররক্ষা হয় না ।” বিজয়কৃষ্ণ মেডিকেল কলেজের ছাত্ৰ-সন্মিলনে ‘হিন্তসঞ্চারিণী” সভার সভ্য ছিলেন। সভায় আলোচনায় সিদ্ধান্ত হইল, যাহা সত্য বুঝিব, তাহা পালন না করা কপটতা ও মহাপাপ ।। ১২৬৯ সালের এই আলোচনাব দিনেই বিজয়কৃষ্ণ কপটতার চিহ্ন মনে করিয়া উপবীত ত্যাগ করিলেন ; মাকেও পত্র লিখিয়া সে সংবাদ পাঠাইলেন। ছাত্ৰগণমধ্যে, ব্ৰাহ্ম-সম্প্রদায়ে সম্বন্ধে আন্দোলনের তুমুল তরঙ্গ উঠিল। তখন ব্ৰাহ্মগণও জাতিভেদ