পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী। Vو" স্বীকার করিতেন না বটে, কিন্তু জাতিভেদের চিহ্ন উপবীতধারণ সংস্কার পরিত্যাগ করিতে পারেন নাই। মহৰ্ষি দেবেন্দ্রনাথের সহিতও বিজয়কৃষ্ণের মতবিরোধ হইল। বিজয়কৃষ্ণ সত্যনিষ্ঠায় অনুপ্ৰাণিতঃ হইয়া সত্য-সঙ্কল্পিত সাধনের পথে দ্রুত অগ্রসর হইতে লাগিলেন। জাতিভেদ সম্বন্ধে বিজয়কৃষ্ণ এ সময় সংস্কারশূন্য হইয়াছিলেন। শিবনাথ শাস্ত্রী লিখিয়াছেন ;- “এক জন বিকে ভাত নিয়া আসিতে দেখিয়া আমি চমকিয়া উঠিলাম ; বলিলাম। এ কি ? বামনের জাত মারলে ? তিনি বলিলেন, ও কি ? জাতটাত আবার কি ? ও সব কিছু নয়।” বিজয়কৃষ্ণের স্মৃতিশক্তি অত্যন্ত প্রখর ছিল ; মেডিকেল কলেজের শিক্ষকোপদিষ্ট বিষয় তঁাহাকে পরিশ্রম করিয়া আয়ত্ত করিতে হইত। না । অধ্যয়নের শেষ বর্ষে বিজয়কৃষ্ণের নেতৃত্বে ছাত্ৰগণের সহিত মেডিকেল কলেজের কর্তৃপক্ষের বিবাদ হয়। গোলদিবীতে বক্তৃতা করিয়া অন্যায়দ্বেষী বিজয়কৃষ্ণ ছাত্রগণকে লইয়া একযোগে কলেজ পরিত্যাগ করেন। পরে দয়ার সাগর ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের শরণাপন্ন হইয় তাহার দ্বারা ছোট লাট লর্ড বীড়নকে জানাইয়া ছাত্ৰগণের নির্দোষিত সপ্ৰমাণ করেন। কর্তৃপক্ষ ছাত্রগণকে আবার কলেজে গ্ৰহণ করেন, এবং বিজয়কৃষ্ণের পরামর্শমত বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সংস্কারপ্ৰস্তাবে মেডিকেল কলেজের উন্নতি-বিধান হয় - বাঙ্গল বিভাগ ক্যাম্বেল স্কুলে পরিণত হয়। , বিজয়কৃষ্ণ এই সময় মেডিকেল কলেজ পরিত্যাগ করিয়া পথে দাড়াইয়া ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মপ্রচারে আত্মনিয়োগ করেন। তিনিই এই ভাবের প্রথম ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম-প্রচারক। তিনি অপরাঙ্কে প্রেসিডেন্সী কলেজের