পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । WუNS} সপরিবারে কলিকাতায় বাস করিয়া বিজয়কৃষ্ণ প্ৰবল উদ্যমে প্রাণপণে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের অনুষ্ঠানে ও ব্রাহ্মধৰ্ম্মপ্রচার কাৰ্য্যে সম্পূর্ণ আত্মনিয়োগ করিলেন। “এক দিকে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের বহুদৰ্শন, প্ৰগাঢ় ধ্যানপরায়ণতা, সংস্কৃতে-ধৰ্ম্মশাস্ত্রে অভিজ্ঞতা, গাম্ভীৰ্য্য, ধীরতা প্রভৃতি মহাগুণ ; অপর দিকে আচাৰ্য্য কেশবচন্দ্রের সাহস, পরাক্রম, নিভীকতা, সুমার্জিত বুদ্ধি, বিচক্ষণতা, বাগিতা, কাৰ্য্যতৎপরতা, জীবন্ত প্রার্থনা, এবং বিজয়কৃষ্ণের ও তঁহার সহযোগিগণের ধৰ্ম্মানুরাগ, ব্যাকুলতা, ংস্কার-প্রিয়তা, জীবনপ্রদ উদ্যম, উৎসাহ প্ৰভৃতি একত্ৰ সম্মিলিত হইয়া একটি প্রভূত শক্তি উৎপন্ন করিল।” ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের আন্দোলনস্রোতে অনুপ্ৰাণিত হইয়া “নানা দেশবিদেশের লোক ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিবার জন্য অত্যন্ত ব্যাকুল ; কিন্তু তঁহাদের নিকট গমন করিয়া ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের উপদেশ দেন, এরূপ লোকের নিতান্ত অভাব।” এই কথা শুনিয়া বিজয়কৃষ্ণ প্রচার-কাৰ্য্যে আত্মনিয়োগ করিবার জন্য ব্যাকুল হইলেন। আচাৰ্য্য কেশবচন্দ্রের পরামর্শে প্রচারক হইবার জন্য রীতিমত । পরীক্ষা দিয়া এবং সমস্ত তত্ত্ববোধিনী-পত্রিকা অধ্যয়ন করিয়া মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের নির্দেশমত ‘ঈশ্বরের প্রতি নির্ভর করাই ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম-প্রচারের একমাত্র উপায়” জ্ঞান করিয়া বিজয়কৃষ্ণ পরহিতাৰ্থ ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম-প্রচারে আত্মোৎসর্গ করিলেন। তিনি কোন্নগর, নেবুতলা, রামকৃষ্ণপুর, শ্ৰীরামপুর, শান্তিপুর, বাগঅ্যাচড়া, বৰ্দ্ধমান, চেতলা, কুমারখালি, শিলাইদহ, প্ৰভৃতি স্থানে পরিভ্রমণ করিয়া “অগ্নিময় উৎসাহ, পবিত্র-জীবন, হৃদয়গ্রাহী বক্তৃতা-শক্তিতে অনেক লোকের মন পরিবৰ্ত্তিত করিয়া” ব্রাহ্মধৰ্ম্মের প্রতি তাহাদিগকে আকৃষ্ট করিতে লাগিলেন, তঁহার উদ্যোগে স্থানে