পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭* , , , , "ভারত-প্ৰতিভা , ‘ব্রাহ্মদিগের কৰ্ত্তব্য, নিবেদন, সামাজিক শাসন' এই সকল বিষয়ে কঁয়খনি পুস্তিকাও প্রচার করেন। পরে কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারের কীৰ্ত্তনের দলে সম্মিলিত হইয়া ঢাকায় ভক্তিবন্যা প্রবাহিত করেন। পুনরায় পূর্ববঙ্গ ও উত্তরপশ্চিম প্রদেশের নানাস্থানে পরিভ্রমণ করিয়া ধৰ্ম্মপ্রচার, উপদেশ, বক্তৃতাদি প্ৰদান এবং ‘যোগসাধন' পুস্তিকা বিতরণ করেন। ১২৯২ সালে বামবােধিনী পত্রিকায় তাহার আত্ম-জীবনের সত্যলাভের জন্য তীব্র বাকুলতা, ধৰ্ম্মসাধনের জ্ঞানগর্ভ উপদেশ “আশাবতীর উপন্যাস’ নামে প্ৰকাশিত হয় এবং “আত্ম-বিবরণ’ নামে নিজ জীবনের পরীক্ষিত সত্যরাজি তিনি প্ৰকাশ করেন। যোগসাধনে প্ৰবৃত্ত হইয়া তিনি যোগসাধন-ধর্মের দীক্ষা দিতে প্ৰবৃত্ত হন— বলেন--“অজ্ঞান লোকদিগের ব্ৰহ্মজ্ঞান শিক্ষা দিবার জন্য শাস্ত্ৰকৰ্ত্তারা ব্রহ্মের রূপকল্পনা করিয়াছেন। * * রাধাকৃষ্ণ, সীতারাম এ সকলই এক,-যিনি পুরুষ, তিনিই প্ৰকৃতি । * * দেবদেবীর মন্দিরে প্রতিমার সম্মুখেই যদি আমার ব্রহ্মস্মৃৰ্ত্তি হয়, তবে আমি সেখানেই আত্মহারা হইয়া যাই । * * ঈশ্বর সর্বব্যাপী, ভক্ত সকল রূপেই ভগবানকে ডাকিতে পারেন।” ব্ৰাহ্মসমাজ ভঁহাকে পৌত্তলিক হিন্দু সাব্যস্ত করিলে মতভেদ হেতু তিনি ব্রাহ্মসমাজের প্রচারক ও আচাৰ্য্যের পদ ত্যাগ কবেন। কিছুদিন ঢাকায় অরস্থান করিয়া একমাত্র পুত্ৰ যোগজীবন ও কন্যা শান্তি-সুধা দেবীর ব্ৰাহ্মমতে বিবাহ দেন। পরে গওেরিয়া'র নির্জন জঙ্গলে আশ্রমপ্রতিষ্ঠা করিয়া সাধন-ভজন, যোগ ও ধ্যানে নিমগ্ন হন— মধ্যে মধ্যে নানাস্থানে পরিভ্রমণ করিয়া যোগ-সাধনধৰ্ম্মে অনেককে দীক্ষা দেন ও নূতন মত সুপ্রচার করেন। ইহার পর তিনি ইষ্টদর্শনাকাঙ্ক্ষায় ব্যাকুল হইরা বৃন্দাবনে গমন করেন। সেখানে তঁহার স্বীবিয়োগ হয়।