পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । ” ৬৯ ৷৷ বাঁকীপুর, মজঃফরপুর, মতিহারী, যমুলিয়া, গাজিপুর, জামালপুর ও বোয়ালিয়া প্রভৃতি স্থানে গিয়া হিন্দুশাস্ত্ৰ হইতে সারসংকলন পূর্বক বক্তৃত । দ্বারা লোককে আকৃষ্ট ও শ্রদ্ধান্বিত করেন। গাজিপুরে ভক্তিজিজ্ঞাসু হইয়া । তিনি যোগসাধনমগ্ন পাহাড়ী বাবার দর্শন ও উপদেশ লাভ করেন । বিজয়কৃষ্ণ বলিতেন—“আমি হিন্দু সমাজ চাই না, ব্ৰাহ্ম-সমাজ চাই না, খৃষ্টান-সমাজও চাই না। আমি কোন দলাদলি চাই না, কেবল চাইসেই প্ৰাণের দেবতাকে।” অতঃপর তত্ত্বনির্ণয়ে উন্মত্ত হইয়া তিনি বহু ক্লেশ স্বীকার পূর্বক নানাস্থানে পরিভ্রমণ করিয়া বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সাধু, যোগী, সন্ন্যাসী, সাধক, উদাসীন, বৈষ্ণব ও সাধকগণের সহিত সম্মিলিত হন। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মতানুসারে বেদ, বেদান্ত, পুরাণ, বাইবেল, ” কোরণ প্রভৃতি ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ অধ্যয়ন করেন-প্ৰাণায়াম, ভূতশুদ্ধি প্রভৃতি প্রক্রিয়ায় যোগসাধন করেন। পরে, অঘোরপন্থী, কাপালিক, রামাৎ, নামকপন্থী, শাক্ত, শৈব, বৈষ্ণব, কৰ্ত্তাভজা, দরবেশ, মুসলমানী ফকীর, বৌদ্ধ-যোগি সম্প্রদায়ে মিশিয়া প্ৰাণের ব্যাকুলতা-প্রশমনের প্রয়াস পান। তৎপরে গয়ায় গিয়া, আকাশগঙ্গা পাহাড়ে অবস্থিত। অশীতিপর বৃদ্ধ দিব্যকান্তি বাবাজীর নিকট অবস্থান করিয়া ও ব্রাহ্মযোগী পাহাড়ের সাধু, ভৈরব ও পরমহংস দর্শন করিয়া বিহ্বল হইয়া দীক্ষা গ্ৰহণ পূর্বক গেরুয়া বসন পরিয়া সন্ন্যাস গ্রহণ করেন। পরে গুরুর অভিপ্রায়ানুসারে স্ত্রীপুত্ৰাদি লইয়া ব্ৰাহ্মসমাজে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করেন । * কলিকাতায় ফিরিয়া তিনি শ্ৰীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের অমৃতময়ী ভক্তি-সঞ্জীবনী উপদেশমালা শ্ৰবণ করেন ; তাহাতে তঁহার বিহ্বল-হৃদয় তৃপ্ত হয়, জীবন-সমস্যার সমাধান হয়। ঢাকায় ফিরিয়া ‘প্রকৃত উপাসনা’, ‘ব্রাহ্মধৰ্ম্ম কি’ ও ‘জীবনের দায়িত্ব সম্বন্ধে, রক্তৃতা করেন ;