পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“ክ፦ ভারত-প্রতিভা রক্তচক্ষু দেখাইয়া শিক্ষক কোনও দিন তাহার নিকট পাঠ আদায় করিতে পারেন নাই । অতঃপর সপ্তমবর্ষ-বয়সে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মেট্ৰপলিটন বিদ্যালয়ে নরেন্দ্ৰনাথ প্ৰবেশলাভ কবেন । কিন্তু ইংৰাজী ভাষা শিখিতে প্রথমতঃ ঊর্তাহার ঘোরতর আপত্তি ছিল। আত্মীয়স্বজন নানা প্রকারে তঁহাকে বুঝাইবার চেষ্টা কবা সত্ত্বেও বালক নরেন্দ্রনাথ কোনও মতেই ইংরাজী শিখিতে চাহিলেন না। কিন্তু কয়েকমাস পরে কি ভাবিয়া আপনা চাইতেই তিনি প্ৰগাঢ় আগ্রহ সহকারে ইংরাজী ভাষা শিক্ষায় মনোনিবেশ করিলেন। বিজাতীয় ভাষা বলিয়া যে ইংরাজীর উপর তঁহার ঘোবস্তর বিরাগ ছিল, পরিণামে সেই ভাষার সাহায্যেই বিবেকানন্দ দিগ্বিজয় করিয়াছিলেন । স্বভাবসিদ্ধ নেতৃত্বের গুরুণাজি লইয়াই কি নরেন্দ্ৰনাথ জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন ? বিদ্যালয়ে যোগদান করিবার পরই তিনি বালকবৃন্দের নেতার স্থান অধিকার করিলেন। সকল প্রকার খেলা, ছুটাছুটি, ঘুষান্মুখী ইত্যাদি যাবতীয় ব্যাপারে তঁহার অত্যন্ত আসক্তি ছিল । নিজে ভয়ানক চঞ্চল ও দুদ্দান্ত হইলেও তিনি কখনও কাহাকেও কোন প্রকার কষ্ট দিতেন না। ববং বালকদিগের বিবাদ ও বিসংবাদ ঘটিলে তিনিই মধ্যস্থতা করিয়া সকলের বিবাদভঞ্জন করিয়া দিতেন। শৈশব হইতে • শারীরিক ও মানসিক শক্তিতে সৰ্বগ্রগণ্য হইলেও তিনি সতীর্থ ও ক্রীড়া-সঙ্গীদিগকে সর্বদা আনন্দিত রাখিবার চেষ্টাই করিতেন। যে একবার নিরেন্দ্ৰনাথের সংস্রবে। আসিত, জীবনে সে কখনও তাহাকে বিস্মৃতি কুইতে পারিত না । পল্লীতে একটি ব্যায়াম-ক্ষেত্র ছিল। সেখানে নরেন্দ্ৰনাথ রীতিমত ক্যায়াম-চৰ্চা করিতেন। লাঠি-খেলাতেও তিনি সমবয়স্ক বালকদিগের মধ্যে