পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । প্রতিষ্ঠালাভ করিয়াছিলেন। একবার কোনও মেলায় লাঠি খেলার প্রতিযোগিতা হইতেছিল। দর্শক নরেন্দ্রনাথ ক্রীড়াক্ষেত্রে লাঠি-হস্তে নামিয়া সর্বাপেক্ষা বলবান ও বয়োজ্যেষ্ঠ বালককে দ্বন্দ্বযুদ্ধে আহ্বান করিলেন। তখন নরেন্দ্রনাথ দশমবৰ্ষীয় বালক মাত্র। দর্শকগণ এই কৌতুকজনক প্ৰক্তিযোগী পরীক্ষার ফলাফল দর্শনের জন্য সাগ্রহে প্ৰতীক্ষা করিতে লাগিল। নরেন্দ্রনাথের লাঠি চালাইবার কৌশল দেখিয়া দর্শক মাত্রেই বিস্ময়-বিমূঢ় হইল। চারিদিক হইতে লোষ্ট্রখণ্ড নিক্ষিপ্ত হইতে লাগিল, কিন্তু তাহার একটিও বালকের অঙ্গস্পর্শ করিল না, লাঠির গাত্রে প্রতিহত “ হইয়া লোষ্ট্রখণ্ডসমূহ চুর্ণ-বিচূর্ণ অবস্থায় চতুর্দিকে ছড়াইয়া পড়িল। তারপর প্রতিদ্বন্দ্বীর সহিত নরেন্দ্রনাথ লাঠির বলী-পরীক্ষায় প্ৰবৃত্ত হইলেন, অল্পক্ষণের মধ্যে তঁহার ষষ্টির আঘাতে প্ৰতিযোগীর লাঠি দ্বিখণ্ডিত্যু হইয়া গেল । শারীরিক বলে শ্রেষ্ঠ হইলেও কোনও দিন কাহারও অঙ্গে BBDBDB BB DDS DDBDBD DBDBD DBD BB DDBD DBDBDOS সাধারণ সংযম প্ৰকাশ পাইয়াছিল, সহচরীগণের মধ্যে সংঘর্ষের সম্ভাবনা ঘটিলেই তিনি উভয়ের মধ্যস্থ দাড়াইয় তাহাদিগকে প্রতিনিবৃত্ত করিয়া দিতেন । প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব, সৎসাহস, বন্ধুগ্ৰীতুি, দয়াদাক্ষিণ্য প্রভৃতি সকল প্রকার মনুষোচিত মহাদগুণের বিকাশ বাল্যকাল হইতেই নরেন্দ্রনাথের মধ্যে বিকশিত হইয়া উঠিম্বাছিল। তাহার বয়স যখন মাত্র ছয় বৎসর, সেই সময় সহচরীগণ সমভিব্যাহারে তিনি একদিন চড়কের উৎসব-ক্ষেত্রে গমন করিয়াছিলেন। মহাদেবের কতিপয় মৃন্ময় পুত্তলিকা ক্রয় করিয়া প্ৰত্যাবৰ্ত্তনকালে তঁহার সঙ্গীদিগের মধ্যস্থ একটি ক্ষুদ্র বালক দলভ্ৰষ্ট হইয়া