পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

k ,蜘9 রাস্তার গিয়া পড়িয়াছিল। সেই সময় তাহার সানে একটি দ্রুতগামী । শকট আসিয়া পড়ায় ক্ষুদ্র বালকটি কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইয়া পড়ে। বালকের আসন্ন মৃত্যু দেখিয়া চারিদিক হইতে পথচারিগণ কোলাহল করিয়া উঠিল; কিন্তু কেহই তাহার উদ্ধারার্থ অগ্রসর হইতে সাহস করিল না। ’ পশ্চাতে চাহিবামাত্র বালক নরেন্দ্রনাথ সঙ্গী বালকটির বিপদ বুঝিতে পারিলেন। মুহূৰ্ত্ত মধ্যে তিনি ত্বরিত-গতিতে সঙ্গীর নিকটস্থ হইয়া অশ্বপদতল হইতে তাহাকে সবলে আকর্ষণ করিয়া আনিলেন। ক্ষুদ্র নরেন্দ্র* নাথের এই অসমসাহসিকতার জন্য চতুর্দিক হইতে অজস্র প্রশংসাধ্বনি উখিত হইল। আর মুহূৰ্ত্ত বিলম্ব হইলেই সেই বালকটি অশ্বপদতলে পিষ্ট হইয়া ইহলীলা শেষ করিত । নরেন্দ্রনাথের জননী এই কাহিনী শুনিয়া পুজকে বুকে ধরিয়া আনন্দাশ্রুপূর্ণ-নেত্ৰে বলিয়াছিলেন, “সব সময় এই ব্লকম মানুষের মত কাজ করে বাবা ” প্ৰত্যুৎপন্নমতিত্ব ও সৎসাহসের বহু পরিচয় নরেন্দ্রনাথের জীবনে আমরা দেখিতে পাই। সাত আট বৎসর বয়সে একদিন সহযোগিগণসহ তিনি মেটেবুক্কজে নবাব ওয়াজীদ আলী সাহের পশুশালা দেখিতে গিয়াছিলেন। চাদপাল-ঘােট হইতে যাতায়াতের জন্য একখান টাপুরে ডিঙ্গী ভাড়া করা হইয়াছিল। ফিরিবার সময় একজন সঙ্গী অসুস্থ হইয়া নৌকায় তক্তার উপর বমন করিয়া ফেলে। মুসলমান মাঝি বালকদিগকে নৌকা পরিষ্কার করিয়া না দিলে তীরে নামিতে দিবে না বলিয়া ভয় দেখাইতে লাগিল। বালকেরা প্ৰস্তাব করিল যে, তাহারা পারিশ্রমিক দিতেছে, অন্য কাহারও দ্বারা যেন তাহারা উহা পরিষ্কার করাইয়া লয়। কিন্তু মাঝিরা তাহাতে অসম্মত হইয়া বালকদিগের দ্বারা বলপূর্বক কাজ করাইয়া লইতে উদ্যত হইল। এতদুপলক্ষে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির উপক্রম।