পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ܐ ܕ ስ ካ , কিছুক্ষণ লক্ষ্য করিয়া তিনি বুঝিতে পারিলেন, আবেদনকারিগণ ত্রিতলের এক বারান্দায়. যাইতেছে। তিনি বুঝিলেন, যে সাহেব আদেশপত্ৰ লিখিতেছেন, তিনি ঐখানেই আছেন। তখন তিনি ঐ স্থানে যাইরায় স্বতন্ত্র কোন পথ আছে কি না, তাহা লক্ষ্য করিতে লাগিলেন। দেখিলেন, পরিচারকদের যাইবার জন্য উক্ত বাটীর পশ্চাদ্ভাগে একটি লৌহ-সোপান বিদ্যমান। তিনি সেই সোপানের সাহায্যে লঘুপদে উপরে , উঠিয়া গেলেন। কেহ তঁহাকে দেখিতে পাইলে তঁহার লাঞ্ছনা ঘটিত, তথাপি স্বকাৰ্য উদ্ধারের জন্য তিনি সে দিকে জ্বক্ষেপ না করিয়াই উপরে উঠিয়া গেলেন। তার পর আবেদনকারিগণের পশ্চাতে দাড়াইয়া রহিলেন। যথাসময়ে আবেদনপত্রে সাহেবের অনুমোদন ও স্বাক্ষর করাইয়া লইয়া সম্মুখের সোপানপথে তিনি কাৰ্য্যালয় হইতে বাহিরে আসিলেন। যে অনন্যসাধারণ সেৱাবৃত্তি ও দয়া বিবেকানন্দকে উত্তরকালে চিরস্মরণীয় করিয়া রাখিয়াছে। বাল্যকাল হইতেই নরেন্দ্রনাথের অন্তরে তাহার পর্যাপ্ত বিকাশ পরিলক্ষিত হইয়াছিল। জননী ভুবনেশ্বরী হইতেই নরেন্দ্রনাথ করুণ-কোমল হৃদয়টি লাভ করিয়াছিলেন। ভিক্ষুক কোনও দিন ভিক্ষা চাহিয়া তাহার নিকট হইতে রিক্তহস্তে ফিরিয়া যায় নাই। সতীর্থ ও ক্রীড়াসঙ্গীদিগকেও তিনি প্ৰাণ ভরিয়া ভালবাসিতেন। খেলার সমূয় কোনও সঙ্গী পীড়িত অথবা আহত হইলে, তৎক্ষণাৎ ক্রীড়া বন্ধ রাখিয়া তিনি তাহার পরিচর্য্যায় রত হইতেন। একবার তিনি বহুসংখ্যক বালকসহ , ' ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ দেখিতে গমন করেন। দলের একটি বালক পথশ্রমে বলিয়া অন্যান্য সঙ্গীরা তাহাকে পরিহাস করিতেছিল। কিন্তু বালকটি ক্রমেই দলের পশ্চাতে পড়িয়া গেল। নরেন্দ্রনাথ দলের পুরোভাগে ছিলেন।