পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । , , , vo সহসা তঁহার মনে হইল, যদি প্রকৃতই পশ্চাতের বালকটিয়া পীড়া, হইয়া থাকে ? বালক নরেন্দ্রনাথ তখনই সঙ্গীর সন্ধানে চলিলেন। কিয়দুর পশ্চাদগমনের পর তিনি দেখিলেন, বালকটি সত্যই পথের ধারে বসিয়া পড়িয়াছে। প্রবল জরে সে আক্রান্ত। কেল্লা দেখার কৌতুহল দমন করিয়া নরেন্দ্রনাথ একখানি গাড়ী করিয়া বালকটিকে তাহার বাড়ীতে লইয়া গেলেন । এমন ব্যাপার বহুবার ঘটিয়াছিল। একদিন তিনি একটি বালক ও তাহার মাতাকে আসন্ন মৃত্যুমুখ হইতে রক্ষা করেন। বালক ও "তাহার মাতার উপর একখানি দ্রুতগামী, গাড়ী আসিয়া পড়ে। নরেন্দ্রনাথ তখন সেই পথ দিয়া যাইতেছিলেন। তিনি দ্রুতবেগে উহাদের কাছে গিয়া এক হস্তে বালককে এবং অপর হন্তে বালকের মাতাকে আকৰ্ষণ করিয়া দূরে সরাইয়া লইয়া যান। প্ৰত্যুৎপন্নমতিত্বের বহু নিদর্শনই বালক নরেন্দ্ৰনাথের জীবনে দেখিতে পাওয়া যায় । , বাল্যকাল হইতেই বিচারবুদ্ধি নরেন্দ্রনাথের জীবনে পরিস্ফুট হইয়া উঠিয়াছিল। তঁহার বাটীর সন্নিকটে একটি চাপা ফুলের গাছ ছিল। অবসর পাইলেই বালক নরেন্দ্ৰ সেই গাছের ডাল ধরিয়া বাদুড়ের মত ঝুলিয়া থাকিতেন। একদিন অপর একটি সঙ্গীর সহিত তিনি ঐ রূপ ক্রীড়ায় নিযুক্ত আছেন, এমন সময় পল্লীর এক বৃদ্ধ-নিরেন্দ্র তাঁহাকে ঠাকুরদাদা বলিতেন -নরেন্দ্রনাথকে ঐ কৰ্ম্ম হইতে নিবৃত্ত করিবার জন্য ভীতিপ্রদর্শন করিয়া বলিলেন যে, উক্ত বৃক্ষে ব্ৰহ্মদৈত্য আছে ; যে দিন সুযোগ পাইবে, সেই দিন উক্ত প্রেতিযোনি তাহদের ঘাড ভাঙ্গিয়া দিবে। নরেন্দ্রনাথ নীরবে: বুদ্ধের উপদেশ শ্রবণ করিলেন বটে, কিন্তু বৃদ্ধ দৃষ্টির অন্তরাল হইবামাত্র পূৰ্ব্বাপেক্ষা অধিকতর উৎসাহ সহকারে দুলিতে লাগিলেন। ক্রীড়াসঙ্গী ব্ৰহ্মদৈত্যের কথা উত্থাপন করিলে, বালক নরেন্দ্ৰ সহাতে, বলিলেন, “দুৱ