পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बांभी बिल्ब कॉनन । এমন ভাবে সুগঠিত হইয়া উঠিয়াছিল। বিশ্বনাথবাবু স্বয়ং পুত্রের বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশের জন্য বহুক্ষণ নরেন্দ্রনাথকে লইয়া নানাপ্রসঙ্গের আলোচনায় কালক্ষেপ করিতেন; নিজের মত ঘাড়ে চাপাইতে চাহিতেন না ; স্বাধীনভাবে স্বীয় মত ব্যক্ত করিবার অবকাশ দিতেন। বাল্যকাল হইতে পিতৃদেবের নিকট হইতে এইরূপ শিক্ষালাভের ফলে বিবেকানন্দ উদার দূরদৃষ্টির সহায়তায় প্রত্যেক বিষয়ে সূক্ষ্মতম বিচার করিতে পারিতেন। খৃষ্টধৰ্ম্মের প্রভাব সে সময় বাঙ্গালাদেশকে অনেকটা আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিয়াছিল। নরেন্দ্রনাথের পিতার নিকট বিভিন্ন ধৰ্ম্মাবলম্বী বহু ব্যক্তিই যাতায়াত করিতেন। অনেকের সহিত র্তাহার ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বও ছিল । জাতি বা বর্ণের তারতম্য তঁহার নিকট ছিল না। যাহার ভিতর মনুষ্যত্বের সন্ধান পাইতেন, বিশ্বনাথবাবুর্তাহাকেই সমাদর ও শ্রদ্ধা করিতেন । পুত্রের সহিত আলোচনাকালে বিশ্বনাথ হিন্দুধৰ্ম্ম ও খৃষ্টধৰ্ম্মের মধ্যে প্ৰভেদ কোথায় ও কিরূপ, তাহ বিশেষভাবে নির্দেশ করিবার চেষ্টা করিতেন। সেই সঙ্গে তিনি ইহাও লক্ষ্য রাখিতেন যে, স্বধৰ্ম্ম ও স্বদেশীয় সভ্যতার প্রতি পুত্রের শ্রদ্ধা ও অনুরাগ যেন অক্ষুন্ন থাকে। তিনি নিজেও জাতীয় রীতিনীতি ও অনুষ্ঠানাদি অতিশয় শ্রদ্ধাের চক্ষে দেখিতেন। তঁহার মনে দৃঢ়-বিশ্বাস ছিল যে, যে ব্যক্তি স্বজাতির অতীত গৌরবকাহিনী বিশ্বত হয়, নিজের ধৰ্ম্মে যাহার শ্রদ্ধা নাই, সেই বিজিত । আত্মবিশ্বাস যাহার নাই, সেই ত আত্মবিশ্বত। আত্মমৰ্যাদা-জান না। থাকিলে সে কখনও মনুষ্য নামের যোগ্য হইতে পারে না। . . . প্রাণের আকর্ষণ জননীর উপরই অধিক ছিল। প্রকৃত দেবীজ্ঞানে তিনি মাকে পূজা করিতেন। বিবেকানন্দ প্রায়ই বলিতেন, “যে মাকে পূজা