পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N. 曾 . vis अल 5-空中55 দেখিতে পাওয়া যায়। হনুমানকে দেখিবার জন্য জনৈক কথকের নির্দেশমত বাটীর সন্নিকটস্থ কদলীবনে গিয়া নরেন্দ্রনাথ অনেকক্ষণ চক্ষু মুদ্রিত করিয়া বসিয়াছিলেন। কিন্তু বহুক্ষণ অপেক্ষা করার পরও হনুমানের দর্শন না পাইয়া অত্যন্ত ক্ষুদ্ধচিত্তে গৃহে ফিরিয়া গেলেন। তঁহার মাতা ও অন্যান্য পরিজন, যখন বুঝাইয়া বলিলেন যে, প্রভুর কাৰ্য্যে সে দিন হনুমান অন্য কোথাও গিয়াছেন, তাই তঁহার দর্শন ঘটে নাই, তখন বালক নরেন্দ্রনাথের ক্ষোভ দূরীভূত হয়। পরিণত-বয়সেও স্বামী বিবেকানন্দ হনূমানের বিষয়ে আলোচনায় যথেষ্ট আনন্দ অনুভব করিতেন। বেলুড় মঠে পবন-নন্দনের একটি প্রস্তরমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করিবার সঙ্কল্পও তেঁাহার ছিল। জননীর প্রতি ভক্তি, ভালবাসা ও আকর্ষণ শৈশবাবধিই নরেন্দ্ৰনাথের জীবনে বৰ্দ্ধিত হইয়া উঠিয়াছিল। এই বিশ্বে র্যাহারা মহৎ নামে পরিচিত হইয়া গিয়াছেন, তঁহাদের সকলেই মাতৃভক্ত ছিলেন । নরেন্দ্রনাথের মাতৃভক্তি আদর্শ ভক্তি ছিল। তঁহার পিতার বিদ্যাবুদ্ধি, গাম্ভীৰ্য্য ও বিবেচনা শক্তিকেও নরেন্দ্রনাথ অত্যন্ত শ্রদ্ধার চক্ষে দেখিতেন । পরিণত-বয়সেও পিতার কথা বলিতে গিয়া তিনি গৰ্ব্ব অনুভব করিতেন। কোনও লোককেই তিনি তঁহার জনকের সমকক্ষ বলিয়া মনে করিতেন না। তথাপি প্রয়োজন হইলে পিতার মতের বিরুদ্ধে যুক্তি ও তর্ক দ্বারা নিজের মতপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করিতে তিনি কোনও দিন কুষ্ঠিত হন নাই। উত্তরকালেও, স্বামী বিবেকানন্দ সত্যপ্রতিষ্ঠার জন্য নির্ভীকভাবে নিজের উপলব্ধ বিশ্বাসজাত বিষয় ব্যক্ত করিতে কোনও দিন কুষ্ঠিত হন নাই। ? যাহা সত্য, যাহা প্রকৃত, তাহার জন্য তিনি কোনও দিন তর্ক করিতে ও স্তাহার: প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করিতে কোনও দিন বিন্দুমাত্র ... ইতস্তুতঃ করেন নাই। পিতার শিক্ষার ফলেই তাঁহার চরিত্রের এই অংশটি