পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেখি নাই। আমাদের পূর্ববর্ণিত। নীলধারার ঘাটে দুটা শিব বৰ্ত্তমান । আছেন—তাহার একটীির নাম গৌরীশঙ্কর এৰং অপরটির নাম বিম্বো শিবালিক পৰ্বতোপরিস্থ একটী শিখরোপরি বিৰোকেশ্বর বা . বিহুকেশ্বর দেব বিরাজিত আছেন। ইনি মায়াপুরী অর্থাৎ বিশ্বকেশ্বৰ হরিদ্ধারের ক্ষেত্ৰপাল দেবতা। রাজপথের কিছু দূরে বনবেষ্টিত ভূভাগে এই দেবতার মন্দিরটি বিরাজিত। মন্দিরের সন্নিকটে একটা বিম্ববৃক্ষ দেখিতে পাইলাম, এই বৃক্ষের সহিত শিবলিঙ্গের নামানুকরণের কোনও সম্বন্ধ নাইত ? হরিদ্বারের প্রধান প্ৰধান দ্রষ্টব্য ও তীর্থস্থলগুলির বিবরণ প্রদত্ত হইল, এতদ্ব্যতীত এখানে ভীম গদা বা ভীমঘোড়া, ও দশাবতারের মন্দির দেখিবার আছে। ভীম গদা বা ঘোড়ার সম্বন্ধে পাণ্ডারা নানারূপ বলিয়া থাকেন, কেহ কেহ বলেন যে ভীমের অশ্বের ক্ষুরাঘাতে এই গহবর বা কুণ্ড হইয়াছে—আবার কেহ এইরূপ বলেন যে স্বৰ্গারোহণকালে ভীম। এই স্থানে ভঁাহার। গদা নিক্ষেপ করিয়া যাওয়ায় এইরূপ হইয়াছে। : সম্মুখে পতিত গদার আকৃতি এক প্রকাণ্ড প্রস্তরখণ্ডকেই তাহারা ভীমের । গদ বলিয়া, থাকে, উহার উপরে আঘাত করিলে এক প্রকার শব্দ হয় । ভীম ঘোড়া বা ভীম গদা নামক স্থানের পর্বতগাত্ৰস্থ গহবরের ঠিক্‌ নিম্ন হইতে একটী ক্ষুদ্র উৎস নিৰ্গত হইয়া নিকটবৰ্ত্তী কুণ্ডে পতিত হয় এবং সেখান হইতে একটী প্ৰণালী দ্বারা সেই সলিলরাশি গঙ্গার সহিত মিলিত হইতেছে, ইহাই পাণ্ডারা গঙ্গা-নিৰ্গমের স্থান বলিয়া ব্যাখ্যা করে। হরিদ্বার হইতে প্ৰায় বারক্রোশ দূরে পিহোড় নাথ নামক শিব আছেন, সেখানে যাওয়া বড়ই কষ্টকর ; পথ নিতান্ত দুৰ্গম । দশাবতারের মন্দির মধ্যে বিষ্ণুর ভিন্ন ভিন্ন দশ অবতারের প্রস্তুর-বিনিৰ্ম্মিত মূৰ্ত্তি সমূহ স্থাপিত। মন্দিরটি জাহ্নবীভীরে অবস্থিত থাকায় বড়ই সুন্দর। দেখায়। ঋষিকেশ যাত্রীরা এখান । হইতেই যাইয়া থাকে। উহা হরিদ্বার হইতে ১৪ মাইল উত্তর দিকে অবস্থিত। সেখানেও যাত্ৰিগণকে স্নানতৰ্পণাদি কাৰ্য্য করিতে হয়। . ঋষিকেশ হইতে গঙ্গার দৃশ্য দেখিতে রিড়ই সুন্দর। কল কল রবে তরঙ্গভঙ্গে নাচিয়া নাচিয়া