ঘটে নাই। অমৃতসর একটী প্রাচীন সহর, উহার চতুর্দিকস্থ প্রাচীরগুলি। नानाकाशा । এখন জীর্ণ হইয়া গিয়াছে। গভৰ্মেন্ট একদিকের জীর্ণ ংস্কার করাইয়া ব্যয়বাহুল্য ভয়ে অপর দিকের সংস্কারে । ক্ষান্ত হইয়াছেন। নগরটি জনাকীর্ণ পথগুলি পরিষ্কৃত ও প্রশস্ত । এখানে খুব অল্প সংখ্যক বাঙ্গালী বাস করেন ; রেলি-ব্রাদার্সের বিস্তৃত । কারখানা এবং সৈন্যের ছাউনীও (Cantonment) : এস্থানের অন্যতম । দ্রষ্টব্য। জলন্ধর হইতে অমৃতসর আসিতে মধ্যে বিখ্যাত সিন্ধুনদের অন্যতম শাখা বিপাসা নদী পাওয়া যায়। ইংরেজেরা ইহাকে Beas “বিয় কহেন। বিপাসার ২৭ মাইল অন্তরেই এই অমৃতসর নগর। – আমরা অমৃতসরে যে বাঙ্গালী ভদ্রমহোদয়ের নিকট অনুরোধপত্র লইয়া। আসিয়াছিলাম, তাহার বাসায় স্থানাভাবে অবস্থানের অসুবিধা জানিয়া। মহাত্মা লাল শান্তিরামের বাটীতেই বাসা স্থির করিয়াছিলাম। ঐ সদাশয় ব্যক্তি নবাগত বিদেশী ভদ্রলোকদের অবস্থানেব নিমিত্ত একখানা । দ্বিতল বাড়ী প্ৰস্তুত করিয়া রাখিয়াছেন। সম্মুখে উদ্যানসহ চতুষ্কোণ । পাড় বাঁধান পুকুর। অতিশয় সুন্দর বন্দোবস্ত। বিনা ভাড়াতেই এই | অট্টালিকায় বাস করিতে পাওয়া যায়। তবে ভদ্রলোকমাত্রই প্রহরীকে । কিছু না কিছু দিয়া থাকেন। শান্তিরামের ন্যায় এরূপ স্বাৰ্থহীন, পরোপকারী, । উদার-হৃদয়ের লোক জগতে অতি অল্পই দেখিতে পাওয়া যায়। ] - বাবা নানকের গ্রন্থসাহেবখানি মন্দির হইতে প্ৰত্যহ রজনী নয় ঘটিকার । সময় সাজসজ্জার সহিত স্থানান্তরিত হইয়া থাকে। পরে পুনরায় রজনীর শেষ- | ভাগে সবিশেষ আড়ম্বরের সহিত তাহা আনয়ন পূর্বক মন্দিরে স্থাপনা করা : হয় । ইহাই প্রাত্যহিক নিয়ম । বাবা নানকের গ্ৰন্থসাহেবই। শিখদিগের - একমাত্র অর্চনীয়। সাধারণতঃ দর্শকগণও এখানকার স্ববর্ণমন্দিরই দেখি আসিয়া থাকেন। পাঞ্জাবের অন্যান্য স্থান অপেক্ষা অমৃতসরের { f ... s. . . ... नांडশীতোষ্ণ, বিশেষতঃ শীতকালে ইহা একান্ত স্বাস্থ্যকর। ষ্টেসনের সন্নিকটেই । ডাক-বাঙলা আছে। গাড়ী, ঘোড়া ইত্যাদি সৰ্বদাই ক্টেসনে পাওয়া যায়। ]
