পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কানপুর। অপরাহ্নে এই সকল দেখিতে দেখিতে সন্ধ্যা হইয়া গেল-আর এ সমুদয় শোক-চিহ্ন দেখিয়া হৃদয়ও এত আচ্ছন্ন হইয়া পড়িল যে, বাসায় ফিরিয়া আসিয়াও বহুক্ষণ পৰ্য্যন্ত মুহামান থাকিতে হইয়াছিল। yo পরদিন প্ৰত্যুষে নগর দেখিতে বাহির হওয়া গেল,—এবং প্রথমেই গঙ্গার খাল দেখিব বলিয়া যাত্রা করা হইল । হরিদ্বার হইতে বাধ দিয়া গঙ্গার একাংশ হইতে একটী জল-স্রোত সোপানে সোপানে নামাইয়া ঘুরাইয়া-ফিরাইয়া নানাপ্রকার বৈজ্ঞানিক কৌশলের সহিত সমতল দেশে আনা হইয়াছে এবং তাঁহাকেই কানপুরের নিম্নে আনিয়া গঙ্গার সহিত মিলাইয়া দেওয়া হইয়াছে। খালটি ৪ শত মাইল দীর্ঘ। কানপুরের নিম্নে ইহা কটাদেশের অধিক গভীর নহে। এই খাল (Ganges canal) নিৰ্ম্মাণ করিতে দুই ক্রোর টাকা ব্যয় হইয়াছে। এখন আর ইহাকে খাল বলা চলে না, যেন এক স্বতন্ত্র উপনদী কত পৰ্বত, প্ৰান্তর, দেশ উত্তীর্ণ হইয়া, কতদেশের অন্ন-ব্যবস্থা করিতে-করিতে কানপুরে আসিয়া গঙ্গায় মিলিয়াছে। এই খালের মুখের নিকটে উভয় পার্শ্ব ইষ্টক নিৰ্ম্মিত সোপানাবলী দ্বারা বাধাইয়া দেওয়াতে ইহাকে আরও শোভাময় করিয়া তুলিয়াছে। এই খালের এক পার্শ্বে একস্থানে একটা মাঠের মধ্যে একটা ক্ষুদ্র ক্ষেত্ৰ দেখিলাম। এইখানে বিবি আজিজন মুসলমান-পতাকা প্রোথিত করিয়া বিদ্রোহের সময় স্বয়ং অশ্বপৃষ্ঠে পিস্তল হস্তে সৈন্য চালন করিয়াছিলেন। খাল দেখিয়া সতীচৌরার ঘাট দর্শন করিলাম। এই ঘাট হইতেই অসহায় ইংরেজ নরনারীর প্রতি গোলা বর্ষিত হইয়াছিল। এই ঘাট এখন নিষ্ঠরতার স্মৃতি ভূমি হইলেও—এখানে আরও যে মহিমাময়ী স্মৃত্মি বৰ্ত্তমান আছে, তাহা ইহার নাম হইতেই অনুমিত হইতেছে। পূর্ব কালে গঙ্গাতীরে এই ঘাটেই সতীদাহ হইত। কত সহস্ৰ সহস্ৰ সতীদেহ বিমল যশ ও পুণ্যস্মৃতি রাখিয়া এখানে তস্মীভূত হইয়া গিয়াছে !—সেই পুণ্যাবলেই নিষ্ঠৱতার জ্বলন্ত দৃশ্যের স্থান হইলেও আজিও ইহার নামেও পরিচয়ে সেই শুভ্ৰপুণ্য ও যশোর ংবাদই পাওয়া গিয়া থাকে ! এই ঘাটের ক্ষুদ্র মন্দিরটি কিন্তু এত বিপ্লবেও নষ্ট হয় নাই। ইহার পর আমরা ‘শাহ বিহারীলালের \ORGł जऊँौफ़ोब्र था ।