পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

। भौस्छांद्म । এই ভাগে। এই সকল বাড়ী পাথরের নিৰ্ম্মিত কারুকাৰ্য্যবিশিষ্ট ও সুদৃশ্য। এখানে আগে স্কন্ধাবার বা ক্যােণ্টনমেণ্ট ছিল, এখন নাই। তবে কাওয়াজের মাঠ ও দু’ একটি বাঙ্গালা ঘর এখন ঘোড়দৌড়ের মাঠ রূপে ব্যবহৃত হয়। নগরের দেশী মহল্লায় বড় বড় প্রশস্ত তিনটী রাস্তা আছে। রাস্তার ধারে বৃক্ষ শ্রেণী ও ইদারা আছে। অনেকগুলি ইদারা ও তদুপরি নিৰ্ম্মিত ছাত্রী, চবুতারা ইত্যাদি বড়ই সুন্দর শিল্প-খচিত এবং চিত্তাকর্ষক। আমাদের দেশে বৈশাখ মাসে যে পথিকদিগের জন্য পথে গুড়-ছোলা এবং পানীয় জল দিবার ব্যবস্থা পুণ্যকামীরা করিয়া থাকেন, তাহাকে চলিত কথায় “জলছত্ৰ’ বলে কিন্তু আসলে সেটি জলসত্ৰ” । যদি প্ৰকৃত “জলছত্র’ দেখিতে ‘ হয়, তবে তাহা এই উত্তর পশ্চিমের ইদারা ও তাহার ছাত্রী দেখিলে বুঝা যায়। দাতা বৃহৎ গভীর ইদারা কাটাইয়া তাহা বাঁধাইয়া দিয়াছেন ; মুখের নিকট সুউচ্চ সুপ্ৰশস্ত বেদী নিৰ্ম্মাণ করাইয়া দিয়াছেন, বেদীর উপর স্তম্ভ গাঁথিয় তাহার উপর সুন্দর সুদৃশ্য ছাদ করিয়া দিয়াছেন, নিকটে ছায়ার জন্য ঘন ছায়া দিতে পারে এমন বড় গাছ লাগাইয়া দিয়াছেন। জল তুলিবার জন্য কূপের উভয় পার্শ্বে স্তম্ভ বা খোঁটায় বাঁধা মোটা কাছি দড়ি আছে। কুপের গভীরতা বুঝিয়া জল তুলিবার জন্য কপি বা ঘড়ঘড়ি দেওয়া আছে। কোথাও কোথাও জল তুলিয়া দিবার জন্য দাতার বেতনভোগী বা বৃত্তি ভোগী লোকও নিযুক্ত আছে, আবার কোথাও বা পুণ্যকামী ব্যক্তিরাই প্ৰত্যহ কয়েক ঘণ্টা করিয়া জলপ্রার্থী দিগকে জল তুলিয়া দিয়া তাহাদের পিপাসা ও ক্লেশ নিবারণ করে। কোথাও কোথাও কূপের উপরের এই সকল ছত্রী’ দ্বিতল বা ত্রিতল এবং প্রকোষ্ঠ ও বারাণ্ডা-বিশিষ্ট হইয়া থাকে। প্ৰতিতল হইতেই জল তুলিবার ব্যবস্থা থাকে। পথিকেরা এই সকল স্থানে বসিয়া দাড়াইয়া ঘুমাইয়া বিশ্রাম করে, রাত্ৰিবাস করে, এবং রাধিয়া বাড়িয়া আহারাদি করে। অনেক ইন্দারার গাত্রে বেদীর নিম্নভাগে বা ভূমিতলের অপেক্ষা নিম্নদিকে ঠাণ্ডাঘর’ প্ৰস্তুত করিয়া দেওয়া হয়। দারুণ গ্রীষ্মে এই সকল স্থানে লোকে আরাম উপভোগ করে বা সাধু সন্ন্যাসীরা থাকিবার আশ্ৰয় করিয়া লয়। মীৰ্জাপুরে পাথরের স্বচ্ছলতাবশতঃ এই সকল কৃপচত্বর অতি সুদৃশ্য এবং বচনাতীতরূপে 8१ తిసిసి