পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৭৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । অভিহিত হইতে লাগিলেন। শঙ্কর-দেবের কৃপায় তিনি রোগমুক্ত হওয়ায় ভক্তিমান চিত্তে এ স্থানের কনকসভা শিবের মন্দির নিৰ্ম্মাণ করাইয়া দেন। এই মন্দির মধ্যে কোন বিগ্ৰহ বা লিঙ্গ নাই । এ স্থানে মহাদেবের পাঞ্চভৌতিকমূৰ্ত্তির অন্যতম আকাশমূৰ্ত্তির অৰ্চনা হইয়া থাকে। যাত্ৰিগণ দেব-দর্শনের জন্য আসিলে পাণ্ডারা পর্দা তুলিয়া দেন, তখন দেবালয়ের দেয়াল ব্যতীত আর কিছুই দৃষ্ট হয় না। কারণ দেবতা আকােশরঃপী ; মানব চক্ষুর অগোচর ! হিরণ্যাবর্ণ যদি এই কনক-সভামন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়া থাকেন, তবে ইহা গ্ৰীষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দীতে নিৰ্ম্মিত হইয়াছে বলিয়া প্ৰতিপন্ন হয়, কারণ কাশ্মীর রাজবংশের ইতিবৃত্ত রাজতরঙ্গিণীতে হিরণ্যাবর্ণ রাজা ও তঁাহার সিংহল জয়ের উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায়। আবার কোঙ্গদেশের “রাজকাল’ নামক পুস্তকে বর্ণিত আছে যে “বীর চােল রায় একদিন চিদম্বরেশ্বর ও পার্বতীকে নৃত্য করিতে দেখিয়া ভঁহাদের জন্য এই কনকসভা নিৰ্ম্মাণ করান।” এই বীর চােল রায় ৯২৭—৯৭৭ খ্ৰীষ্টােব্দ পৰ্য্যন্ত রাজত্ব করে। এই পুস্তকের মত স্বীকার করিলে কনকসভা মন্দির খ্ৰীষ্টীয় দশম শতাব্দীতে নিৰ্ম্মিত হইয়াছে বলিয়া প্ৰতিপন্ন হয়। উক্ত গ্রন্থের অপর এক স্থানে লিখিত আছে যে, “বীর চােল রাজের পৌত্র অরিবৈরি দেব ১০.০৪ খ্ৰীষ্টাব্দে চিদম্বরেশ্বরের উদ্দেশে গোপুর, মণ্ডপ ও প্রাচীর ইত্যাদি নিৰ্ম্মাণ করান।” সহরের মধ্যস্থলে প্ৰায় এক শত কুড়ি বিঘা স্থান ব্যাপিয়া এই মন্দিরগুলি অবস্থিত। একটার পর আর একটি এইরূপ দুইটা ত্রিশ ফিট উচ্চ প্রাচীর দিয়া মন্দিরগুলি ঘেরা। মন্দির-প্রাচীরের চারি কোণে চারিটীি গোপুর মন্দিরের বর্ণনা প্ৰাচীন ভারতের স্থপতি-বিদ্যার অপূর্ব কলা-কৌশল DD S S S BBBDDS SDBYS qLDBDL DD DBBDDSBD SYBBDD DBDB সগৰ্বে আগুস্তক পথিককে আহবান করিতেছে। তাহারা যেন বলিতেছে, “হে পান্থ !! একবার আমাদের মধ্যে প্রাচীন ভারতের মহিমোজ্জল গৌরবইতিহাস পাঠ করা। একবার অতীত-গৌরব কাহিনী ভাব, কি ছিলে, কি হইয়াছ ?” প্ৰত্যেকটা গোপুর ১২২ ফিট উচ্চ । ইহাদের প্রত্যেকের সম্মুখে এক একটী ৪০ ফিট লম্বা এবং ৫ ফিট প্রস্থ গ্রেনাইট প্রস্তরের স্তম্ভ Q心8